দেশের করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লক্ষ, একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ রাজ্যেও

গতকাল রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ৫৪২ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ১০। রাজ্যে এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াল। ফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ১৯০-এ। মৃত্যু হয়েছে ৬১৬ জনের। তবে আশার কথা একটাই, সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ১০ হাজার মানুষ।

করোনার থাবার রাজ্যে সবথেকে বিপর্যস্ত রাজধানী। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের মোট মৃত্যুর সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। কলকাতার পরেই রয়েছে হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগণা। করোনার চিকিৎসা চলছে মোট ৭৮টি হাসপাতালে। বাড়ানো হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরি এবং টেস্টের সংখ্যাও। তবে যে হারে কোভিড-১৯ পজিটিভির হার বাড়ছে, তাতে কোনদিকে যাবে পরিস্থিতি - তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলেই। 

অন্যদিকে দেশের আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল পাঁচ লক্ষের গণ্ডি। শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত দেড় লক্ষ মানুষ। কাল আক্রান্তের নিরিখে মুম্বাইকেও ছাপিয়ে গেছে দিল্লি। পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, আরো ভয়ঙ্কর হতে চলেছে আগামী দিনগুলো। কারণ মাত্র ৬ দিনের মধ্যেই দেশে সংক্রমিত হলেন প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। উত্তরোত্তর লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পর এই মুহূর্তে অবস্থান করছে ভারত। 

দিল্লিতে করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হলেও এখন অথৈ জলে গুজরাট, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানার মত রাজ্যগুলি। সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা রীতিমত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দল রাজ্যগুলিতে অবস্থার পরিদর্শনে যাবে ২৬-২৯ জুন। তবে চিকিৎসা পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই কি সমস্যার সমাধান মিটবে? কমবে সংক্রমণের সংখ্যা? প্রশ্ন উঠছে সেই ব্যাপারেই। বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও, অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে পরিবহন। ফলে দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাস। করোনা পরিস্থিতির এই ক্রম-অবনতিই এখনও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে।

Powered by Froala Editor