লকডাউনের জেরে বন্ধ বইপাড়া। প্রিন্টিং মেশিনের আওয়াজ নেই, প্রকাশকদের ব্যস্ততা নেই। তার ওপর থাবা বসিয়েছে আমফান। সব মিলিয়ে থমকে আছে প্রকাশনী জগত। এরই মধ্যে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসছেন তাঁদেরই অনেকে। বাংলা সাহিত্য জগত দেখছে ই-বুকের সূচনা। এরই মধ্যে নতুন করে দানা বাঁধল একটি বিতর্ক। ছাপা বই নাকি পিডিএফ বা ই-বুক? এই বিতর্ক আজকের নয়। বাংলা বইয়ের জগতে পাইরেসির অভিযোগ বহুদিনের। এই মুহূর্তে সেই বিষয়টিই প্রবল আকার নিল। সবারই কোনো না কোনো বক্তব্য আছে এই বিষয়। কিন্তু যারা এই জগতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাঁরা কী বলছেন? কী ভাবছেন বাংলার লেখক, কবিরা? প্রকাশনা জগতের মানুষদের মতামতই বা কী? এই সমস্তটাই খোঁজ করল প্রহর। এমনই কয়েকজনের বক্তব্যে উঠে এল সাম্প্রতিক বিতর্কের চিত্র—
গৌতম বসু (কবি)
ই-বুক ভবিষ্যতে হয়ত ব্যাপকভাবে আসতেই পারে। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ। এখন কি আর তেলের কুপি জ্বেলে কেউ পড়ে? সেই বদলটা আসতেও সময় লেগেছে। পিডিএফের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার বলা যায়। বহু বই যেগুলোর নাম শুনেছি অথচ কখনও দেখিনি, সেগুলোর পিডিএফ আমি পাই। বিদেশের কলেজের লাইব্রেরিতে বহু পুরনো বইয়ের পিডিএফ সংস্করণ আছে। যে বই এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে, সেগুলো ফিরে এসেছে এইভাবে। কিন্তু যে বইগুলো আমাদের সামনে আছে, সেগুলোর পিডিএফ হওয়া অনুচিত। কিন্তু আটকানোই বা যাবে কী করে? বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এটা দেখা যায়। এখানে যদি আটকানোও যায়, ওখানে আটকাতে পারবে? এই প্রফেশনাল এথিকসটারই অভাব। কোনো একজন ধরে রাখলে তো হবে না! তবে বারবার যে কথাটা বলা হচ্ছে বইয়ের দাম নিয়ে, সেটা আমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয়নি। বইয়ের দাম খুব একটা বাড়েনি। যেটা বেড়েছে, সেটাও আহামরি কিছু নয়।
রাহুল পুরকায়স্থ (কবি)
আরও পড়ুন
বইয়ের ফেরিওয়ালা থেকে বটতলা হয়ে কলেজ স্ট্রিটের দোকান – যেভাবে জন্ম নিল বইপাড়া
নতুনত্বকে বরাবরই স্বাগত জানাতে হয়। আমিও জানাচ্ছি। কিন্তু দিনের শেষে আমি বইয়ের পক্ষে। বইয়ের পাতার যে গন্ধ, অক্ষরের কাছাকাছি যাওয়া, এর মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। সেটাকে আমি অস্বীকার করতে পারি না। পিডিএফ বা ই-বুক পড়তে গেলে নিজেকে মেলাতে পারি না। মনে হয় ভিনদেশে ঘোরাঘুরি করছি। এই লকডাউনের মধ্যে অনেক প্রকাশনী ই-বুক বার করছে; সেটা ভালো ব্যাপার। কিন্তু আমার মনে হয় না এতে বইয়ের বাজার কমবে। এর আগেও ই-বুক নিয়ে নানাবিধ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বই নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। যারা বই পড়ার, তাঁরা বই-ই পড়বেন। যারা পাচ্ছেন না, তাঁরা হয়তো পিডিএফের চেষ্টা করছেন। বইমেলার হিসেব দেখলে দেখা যাবে দিনকে দিন বই বিক্রি বাড়ছে। আর অন্যান্যদের তুলনায় বাংলা বইয়ের দাম তো বেশি না। কাজেই বই থাকবে, থাকবেই। আর আমার কাছে বই-ই প্রথম ও শেষ আশ্রয়…
স্বপ্নময় চক্রবর্তী (লেখক)
আরও পড়ুন
দেশ-বিদেশের ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের নিয়ে সুন্দরবন আর বইপাড়ার পাশে 'বাইচ'
আমি প্রধানত বই-ই পড়ি। পিডিএফ মাঝে মাঝে কিছু আসে বটে, কিন্তু বইতেই আমি স্বচ্ছন্দ। হ্যাঁ, এটা শুনেছি আমার তো বটেই, অনেকের বই-ই বিনা অনুমতিতে পিডিএফ করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অনুচিত। একথাও বলা হচ্ছে যে ই-বুকই ভবিষ্যৎ; সেটাও মানি না। ছাপাখানা বন্ধ হয়ে স্রেফ ই-বুকই বেরোবে, সেটা হতে পারে না। তাহলে এত পরিবার যারা বই তৈরির সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁরা বিপদে পড়বেন। কাজ চলে যাবে তাঁদের। বইয়ের দামও সেভাবে বাড়ছে বলে মনে হয় না। এবার অনেকে টাকাপয়সার দিকে অত লক্ষ রাখেন না। পাঠকের কাছে পৌঁছনোটাই মুখ্য তাঁদের কাছে। তাঁরা অন্যভাবে ভাবতে পারেন। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে জিনিসপত্রেরও তো দাম বাড়ছে। তাই হয়তো একটু হলেও বেড়েছে বইয়ের দাম। কিন্তু তাও যে নাগালের বাইরে চলে গেছে এমনটাও নয়।
সৌরভ মুখোপাধ্যায় (লেখক)
আরও পড়ুন
ধ্বংসস্তূপ বইপাড়াকে ছন্দে ফেরাতে মানবিক উদ্যোগ তরুণ বইপ্রেমীদের
নতুন বইয়ের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ কপিরাইট আছে এবং বাজারেও সহজেই পাওয়া যায় এমন বইয়ের ক্ষেত্রে পিডিএফ করা অন্যায় এবং বেআইনি। এর জন্য বই বিক্রিও কমছে। পিডিএফ পড়ে যাচাই করে তারপর প্রিন্টেড বই কিনছেন এমন মানুষও খুব যে বেশি আছেন তা নয়। সেক্ষেত্রে ক্ষতিই হচ্ছে। এটা কোনো বিজ্ঞাপনের পন্থাই হতে পারে না। আর অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়লে আমরা অনেকাংশে মেনে নিই। বইয়ের দাম বাড়লেই গেল-গেল রব কেন সবসময়? সেক্ষেত্রে সস্তায় ই-বুক বিক্রির রাস্তাও চলে আসছে। তবে সবার আগে বিনে পয়সায় বই দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটা না হলে এমনি বইয়ের বাজার তো মার খাবেই, ই-বুকের বাজারও মুশকিলে পড়বে।
অংশুমান কর (কবি)
আরও পড়ুন
দীর্ঘদিন বন্ধ দোকানপাট, দেখা নেই মানুষের; কেমন আছে বইপাড়া?
আমি সম্পূর্ণভাবেই বইয়ের পক্ষে। ই-বুক নৈতিকভাবে ঠিক জায়গায় আছে, মাধ্যমটাই শুধু আলাদা। কিন্তু পিডিএফের ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। দুটো একদমই এক জিনিস নয়। কিন্তু একটু দুষ্প্রাপ্য, পুরনো, বা যে বই এখন আর পাওয়া যায় না, এমন কিছু ক্ষেত্রে পিডিএফ আসতে পারে। সেক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া বইটাকে ধরে রাখার একটা ব্যাপার থাকে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে সেটা বেআইনি। এটা শুধু বাংলার কথা নয়, অন্যত্রও একই জিনিস দেখা যাবে। আর পিডিএফ পড়ে কেউ উৎসাহিত হবেন মুদ্রিত বই কিনতে সেটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যদিও বা কেনেন, কিনবেন ওই মানুষরাই, যাদের প্রাথমিক পছন্দ বই।
সুকল্প চট্টোপাধ্যায় (আজকাল)
আরও পড়ুন
একসময় ঘুরে-ঘুরে মাছও বিক্রি করেছেন বইপাড়ার ‘মুশকিল আসান’ সুধন্যদা
বই মানে তো একটা অর্থনীতি। সেখানে ছাপাখানা, ডিটিপি পুরো ব্যাপারটা জড়িয়ে আছে। একটা পাবলিকেশনের ওপর কতগুলো পরিবার নির্ভর করে আছে সেটা ভেবে দেখাটা খুব দরকার। ছোটো ছোটো করে অনেকেই জুড়ে থাকেন। ই-বুক করলে কেবল ডিটিপি-টুকুই লাগে। বাঁধাই বা কাগজের কোনো প্রয়োজন হয় না। ই-বুকের ব্যবসার ক্ষেত্রে যারা প্রথম সারির (ইংরেজি বইয়ের ক্ষেত্রেই বলছি), তাঁদের ব্যবসা কিন্তু ক্রমশ তলানির দিকে। বেশি দামি বৃত্তিমুখী বইয়ের ক্ষেত্রে ই-বুক কার্যকরী হতে পারে। আর বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত অত দাম হয় না। এবার কার বই করা হবে, কী ধরণের বই পাঠকের কাছে পৌঁছবে, সেই ব্যাপারটা পাবলিশারই ঠিক করেন। সেটা ব্র্যান্ডিং; এবার কীভাবে কে নেবে সেটা তো পাঠক ঠিক করবেন। এই যে পিডিএফ পড়েন অনেকে, এত এত বই জমান, সবাই কি সবটা পড়ে? নাকি সেটা কেবল দেখানোর জন্য? সেটা তো ভাবতে হবে। সেইসঙ্গে ভালো বই তুলে আনতে হবে প্রকাশককে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাজার। এপার বাংলার সমস্ত প্রকাশককে একজোট হয়ে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। বই ছাপার সংখ্যা তখনই বাড়তে পারে যখন বাংলাদেশের বাজার আমাদের জন্য খুলে যাবে। এপার বাংলার বইয়ের জন্য সেই ওপেন মার্কেট নেই সেখানে। এটা অবিলম্বে করতে হবে।”
মারুফ হোসেন (অভিযান)
প্রথম কথাই হল, ইবুক এবং পিডিএফ এক জিনিস নয়। মুদ্রিত বই এবং ইবুক দুটোই চলতে পারে। সেটা নিয়ে কোনো অসুবিধে নেই। কিন্তু পিডিএফ তো বেসিক্যালি নকল করা। অনেকেই এই বিষয়ে বলছেন জ্ঞান সকলের জন্য। তাহলে কি খাবার সকলের জন্য নয়? খাবার কি কিনব না আমরা? চুরি করে নিয়ে চলে আসব? জ্ঞান সবার জন্য বলার সঙ্গে সঙ্গে সেক্ষেত্রে বলতে হবে খাবারও সবার জন্য। আমাদের বেসিক নিড খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। এই তিনটে যদি আমাকে দেওয়া হয়, তবে জ্ঞানটাও অবশ্যই দেওয়া যেতে পারে। এবার বই তো অনেকগুলো মাধ্যম পার করে করে এসেছে, সেখানে যদি ই-বুক নতুন একটা মাধ্যম হয় তাতে অসুবিধার কিছু নেই। আর বাংলা বইয়ের সার্কুলেশন কমে আসছে তো বটেই। অনেকটাই কমেছে। সেটার কারণ অনেকরকম। তথাকথিত জনপ্রিয় বইয়ের বিক্রিই কমে আসছে। আরও একটা কথা ভাবতে হবে। গত তিন মাসে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যা দাম বেড়েছে? বইয়ের দাম কি তেমন বেড়েছে? বাংলা ভাষার বই এত সস্তায় পাওয়া যায়, আর কোনো ভাষার বই এত সস্তায় পাওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। তারপরেও যারা বই কেনেন না তাঁরা বই কিনতে চান না। তাঁদের কাছে বই কেনাটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়।
রোহণ কুদ্দুস (সৃষ্টিসুখ)
আমার কাছে বই না কিনে পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়াটা নীতির ব্যাপার। তার সঙ্গে ব্যাবসায়িক ক্ষতির সম্পর্ক কতটা জানি না। মনে হয় না, সে ডেটাপয়েন্ট আদৌ কারও কাছে আছে। অধিকাংশ মানুষ লিগাল ই-বুক কী করে কিনতে হয় সেটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন বলেই মনে হয়। কালই এক পাঠক জিজ্ঞাসা করছিলেন, গুগল প্লে-র বই কিন্ডলে পড়তে পারবেন কি না। আমার মনে হয় এই দিকে প্রচার বাড়ানোটা দরকার। আপাতত কিন্ডলে (KDP) বাংলা বই সাপোর্ট করে না বলে সবাই গুগল প্লে-র দিকে ঝুঁকেছেন। ই-বুকগুলোর দামও অধিকাংশ সময়ই আমাদের প্রিন্টেড বইয়ের অর্ধেক। মুদ্রিত বই আর ই-বুক দুটো আলাদা মাধ্যম। তাই পিডিএফ ডাউনলোডের মতো চটকদার বিতর্কে না গিয়ে বরং এই দুটোই কী করে পাঠকের কাছে সহজলভ্য করে তোলা যায়, সংশ্লিষ্ট মানুষজনের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
শুভ বন্দ্যোপাধ্যায় (ধানসিড়ি)
আমরা আমাদের চারিদিকে তাকালেই পাইরেসির অনেক উদাহরণই পাব। সিনেমা দেখাই হোক বা সফটওয়্যার— সবেতেই একই জিনিস। আর বাংলা বইয়ের জগতে এটা অনেকদিন ধরেই হয়ে আসছে। তবে একটা কিছু স্টেপ নেওয়া দরকার। অন্যান্য জায়গার হিসেবে বাংলা বইয়ের দাম তো বেশি না। তবুও পাইরেসি আটকানো যায় না। আরও একটা কথা, আমাদের কপিরাইট অ্যাক্ট বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাক্টটা খুব কড়া নয়। সেখানেও সমস্যা। অনেকে মনে করছেন, ই-বুক করে দিলে তা আর কোনও আইনের আওতায় পড়বে না! প্রযুক্তি যেভাবে উন্নত হচ্ছে, তাতে ই-বুকেরও পাইরেসি শুরু হয়ে যাবে কয়েক বছর পর। সবথেকে বড়ো কথা, আমফান বা লকডাউন না এলে ই-বুকের কথা তো এভাবে আসতই না! তবে এসবের পাশে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল বাংলাদেশ। আমাদের এখানে একটা বইয়ের যা দাম, সেটা ওখানে পাঠালে দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে অনেকে ছাড় নিয়েও কিনতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পিডিএফটা তৈরি করছেন তাঁরা। আর সেটা এপার ওপার সব জায়গাতেই ছড়াচ্ছে! আসল সমস্যা সেখানেই…
সুস্নাত চৌধুরী (বোধশব্দ)
বই বনাম পিডিএফ— এই ব্যাপারটা এতটা সরলরৈখিক নয় বলেই আমার ধারণা। একটা প্রযুক্তি মানুষের কাছে রয়েছে এবং তা সহজলভ্য। তাই হুট করে অস্বীকার করা যাবে না। তবে হ্যাঁ, নতুন বইয়ের ক্ষেত্রে পাইরেসি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হন লেখক। প্রকৃত অর্থে যারা বইয়ের ব্যবসায় যুক্ত আছেন, তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে আইনি ব্যাপারটাও আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিৎ। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কপিরাইটের কী নিয়ম আছে তা অনেকেই জানেন না। একটা গুরুতর প্রশ্ন চলে আসে ই-বুকের ক্ষেত্রে, সব বইয়ের ইলেকট্রনিক ভার্সন কি হওয়া উচিত? কোন বইয়ের ই-ভার্সন করব, কোনটার করব না, সে সিদ্ধান্ত প্রকাশকের। তাঁদের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। ই-বুকের লেআউট নিয়েও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। সেখানে খুব ভালোভাবে সাজানোর সুযোগ থাকে। ই-বুককে সেরকমভাবেও নিয়ে আসতে পারি আমরা। তবে ছাপা বইয়ের সার্কুলেশন নিয়ে আরও ভাবতে হবে। বইয়ের মান, লেখার মানের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। অধিকাংশ বই বিনামূল্যে দিয়ে দিলেও হাজারটা লোক নেবে না। হয় প্রোডাকশন বা কন্টেন্ট তাঁদের পছন্দ নয়, নইলে ঠিক লোকের কাছে পৌঁছতে পারছে না বাংলা বই। আসলে বইটা আমাদের এখানে একটা আর্ট হয়ে থেকে গেল। অন্যান্যদের কাছে ইন্ডাস্ট্রি। বাংলায় বইয়ের ‘ব্যবসার’ দিকটায় একটু নজর দেওয়া দরকার।
Powered by Froala Editor