৬০,০০০ অবসাদগ্রস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চিকিৎসা-পরিষেবা দিল্লিতে

ওঁদের বয়স বেড়েছে। একসময়ের কর্মজীবনের ব্যস্ততা এখন আর কিছুই নেই। হয়তো কেউ কেউ ভেবেছিলেন অবসরের পর পরিবারের সঙ্গে সুখে সময় কাটাবেন। কিন্তু সে সুযোগও আর নেই। ছেলেমেয়েরা নিজেদের জীবনে ব্যস্ত। এই সময় একাকিত্ব এবং অবসাদ গ্রাস করত বাধ্য। সেইসব অসহায় মানুষদের জন্যই এবার বিশেষ উদ্যোগ শুরু হতে চলেছে দিল্লি শহরে। অন্তত ৬০ হাজার বয়স্ক মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হয়েছে একটি হেল্পলাইন। হেল্পলাইনের নাম ‘হাসগুল্লা’।

শুধু হেল্পলাইন নয়। হেল্পলাইনের পাশাপাশি দিল্লি শহরের মনোবিদদের নিয়ে গড়ে তোলা হবে একটা নির্দিষ্ট চেম্বার। এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি শহরের নোদাল হেলথ অফিসার নীতিন শাক্য। মানসিক অবসাদের চিকিৎসার পাশাপাশি সেখানে অবসর যাপনের সুযোগও থাকবে। থাকবে ক্যারাম, দাবার মতো খেলা। এমনকি মোবাইল বা কম্পিউটার শেখার ব্যবস্থাও থাকবে সেখানে।

২০১৯ সালে এজওয়েল ফাউন্ডেশনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ভারতে প্রতি ১০০ জন বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৪৩ জনই মানসিক অবসাদে ভোগেন। আর এই অবসাদের সবচেয়ে বড়ো কারণ একাকিত্ব। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সেই অবসাদের মাত্রাটা আরও বেড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে ‘হাসগুল্লা’ সত্যিই একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, মনে করছেন এজওয়েল ফাউন্ডেশনের কর্তারা। তবে শুধুই চেম্বার করলে আর পাঁচটা মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে তেমন কোনো পার্থক্য থাকে না। ফলে সাফল্যও আসবে একইরকম। ‘হাসগুল্লা’ কিন্তু এর মধ্যেই দিল্লি শহরে ৫০০টি ক্লাব তৈরির ব্যবস্থাও করে ফেলেছে। আর সেইসঙ্গে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক সারাদিন ধরেই প্রায় নজর রাখবেন বয়স্ক মানুষদের উপরে। এই মন খারাপ করা সময়ে সত্যিই এ এক সুখের খবর।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
একইসঙ্গে অফিস ও সংসার – মানসিক চাপে বিপর্যস্ত কর্মরত মহিলারা