দূষণের ফলে বুড়িয়ে যাচ্ছে মস্তিষ্ক, কমছে স্মৃতিশক্তি

আর এক সপ্তাহ পরেই দীপাবলি। আলোর উৎসব। আকাশ ভরে উঠবে আলোর রোশনাই-এ। পাশাপাশি বাড়বে বায়ু ও শব্দদূষণও। প্রত্যেক বছরই প্রশাসন-সহ বিভিন্ন মহল থেকে সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু হাজারো প্রচার ও অনুরোধ সত্ত্বেও অবস্থা তথৈবচ।

বায়ুদূষণের প্রভাবে মানুষের তুলনায় পশুপাখিরা অপেক্ষাকৃত বেশিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা কমবেশি অনেকেরই জানা। কিন্তু মানুষও এখন বাদ যাচ্ছে না দূষণের থাবা থেকে। বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষকের উপস্থিতির ফলে স্মৃতিভ্রংশের প্রবণতা বাড়ছে মানুষের। এমনটাই দাবি ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইকের গবেষকদের। যেসমস্ত জায়গার বায়ুতে নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড ও সূক্ষ্ম কণার পরিমাণ, বেশি সেখানেই বাড়ছে এই রোগের মাত্রা।

দূষিত ও পরিশুদ্ধ বায়ু সম্পন্ন অঞ্চলে থাকা প্রায় ৩৪,০০০ জন মানুষের ওপর সমীক্ষা করেন গবেষকরা, যেখানে তাদের একটি পৃথক শব্দ মনে রাখতে বলা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, দূষিত অঞ্চলের মানুষের যা স্মৃতিশক্তি, তা তাদের থেকে দশ বছর বেশি বয়সের অদূষিত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সমান। অর্থাৎ বায়ুতে দূষকের উপস্থিতি মানুষের মস্তিষ্ককে বৃদ্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড ও সূক্ষ্ম কণা কিভাবে মস্তিষ্ককে প্রভাব ফেলছে তা এখনও জানা যায়নি।

  দীপাবলির প্রাক-মুহূর্তে এমন খবর মোটেই সুখকর নয়, এ-কথা বলাই বাহুল্য!