দিল্লির বাতাস খারাপ হবার পর থেকেই টনক নড়েছে মানুষের। বিষাক্ত বাতাসে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। শুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়ার জো নেই কোত্থাও। সর্বত্র দূষিত বাতাস, উপায় নেই এড়ানোরও। এহেন বিষাক্ত বাতাস থেকে মুক্তি পেতে দিল্লিতে অক্সিজেন পার্লার চালু হওয়ার খবর কিছুদিন আগেই উঠে এসেছিল শিরোনামে। এবার, কলকাতার কাছেও চালু হল একই ব্যবস্থা। তিলোত্তমার পার্শ্ববর্তী মফঃস্বল সোদপুরের অমরাবতীতে প্রণবেশ সেনগুপ্ত ও তাঁর তিন ভাই মিলে চালু করলেন অক্সিজেন পার্লার।
পার্লারে যে ঘরটিতে অক্সিজেন নেওয়া যাবে, স্বাভাবিক ভাবেই তা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। ঘণ্টাপ্রতি অক্সিজেনের মূল্য ২০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সাধারণত শহুরে এলাকায় কমে আসছে গাছপালার সংখ্যা। যত্রতত্র আবাসন গড়ে তোলায় কয়েক হাজার গাছ কাটা পড়ছে প্রতিমূহূর্তে। অথচ বেশ কিছু গ্রামে গেলে এখনও বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া যায় অনায়াসেই। তাই পার্লারের ভেতরে একটি গ্রাম্য পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। ঘরের মধ্যে চারটি বেড, তাতে শুয়ে বা বসে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন নেওয়া যাবে।
প্রণবেশ বাবু বহুদিন ধরেই অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবসা করে থাকেন। কিন্তু পরিবেশ দূ্ষণের হাত থেকে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্যে এমন উদ্যোগ বিরল।
আগামী দিনে খেয়াল রাখা হোক পরিবেশের ওপর। যত্ন কেবল ত্বকের নয়, নেওয়া হোক গাছপালারও। নাহলে পৃথিবীর অক্সিজেন ফুরিয়ে এলে এভাবেই মানুষকে অক্সিজেন সংগ্রহের জন্যে পার্লারে পার্লারে ভিড় করতে হবে। কারণ কে না জানে, বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন কতটা অপরিহার্য!