বহাল তবিয়তে আজও বেঁচে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, তার মালিক এক ভারতীয়

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ভারতের স্বাধীনতার প্রতিটা রক্তবিন্দুর সঙ্গে যে নামটা জড়িত। একটা সময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী কোম্পানি ছিল এটি। ব্যবসার স্বার্থে ভারতের বুকে কত অত্যাচার, কত নিষ্ঠুরতা যে চালিয়েছে এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, তার ইয়ত্তা নেই। দীর্ঘ বহু বছর পর, আবার সে এসেছে ফিরিয়া। বিশ্বের সামনে আবারও হাজির হয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এবারও ব্যবসা নিয়েই এসেছে। তবে মজার ব্যাপার হল, এবার এসেছে এক ভারতীয়র হাত ধরে। সঞ্জীব মেহতার হাত ধরেই আবার এসেছে সে।

ব্রিটিশদের কাছে বাণিজ্য বিস্তারের অন্যতম বড় হাতিয়ার ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তো বটেই, ভারতেও নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করে রেখেছিল এরা। তারপরের গল্প তো সবার জানা। ১৭৫৭-তে পলাশির যুদ্ধ, এবং ধীরে ধীরে বণিকের শাসক হয়ে ওঠা।

সেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভাঙন শুরু হয় ১৮১৩ সাল থেকে। ১৮৭৪-এ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এটি। তারপর, দীর্ঘ ১৩৫ বছর পর আবারও ফিরে এসেছে এই কোম্পানি। আর অবাক ব্যাপার হল, ফিরে এসেছে এক ভারতীয়র হাত ধরে।

২০১০ সালে সঞ্জীব মেহতার হাত ধরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রেনেসাঁ শুরু হয়। সঞ্জীব ২০১০ সালে নিজের কোম্পানির নাম রাখেন সেই ঐতিহাসিক ব্রিটিশ কোম্পানির নামেই। তাও আবার খোদ লন্ডনে। এদের ঝাঁ চকচকে স্টোরে পাওয়া যায় নানারকমের খাবার। চকোলেট থেকে শুরু করে চা, মশলা-সহ প্রায় ৩৫০ রকমের জিনিস পাওয়া যায় এখানে। সমস্ত কিছুতেই ভারতীয়ত্বের ছোঁয়া। আর সঞ্জীব মেহতারও স্বপ্ন এটাই। একদিন এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরেই ভারত ছড়িয়ে পড়বে সব জায়গায়। বাণিজ্যের দুনিয়ায় আবারও ‘দৈত্য’ হয়ে উঠে আসবে এটি। আর সেটা হবে ভারতের হাত ধরেই। সঞ্জীববাবুর লক্ষ্য এখন মিশন ইন্ডিয়া।