ইন্দোনেশিয়ায় লকডাউনের জের, খাদ্যসংকটের মুখে চিড়িয়াখানার প্রাণীরা

লকডাউনের পরিস্থিতিতে বিপদে পড়েছি আমরা সবাই। একে করোনার ভয়, তার ওপর লকডাউন। কাজকর্ম, ঘুরতে যাওয়া সব থেমে আছে। আমরা সবাই ঘরের ভেতরে। কিন্তু এতে মজায় আছে পশুপাখিরা। রাস্তায় বেরোচ্ছে, ঘুরছে মহানন্দে। সেই ছবিও উঠে এসেছে;সেই সম্পর্কে পড়েওছেন আপনারা। কিন্তু সত্যি কি সবাই আনন্দে আছে? এই প্রশ্নটিই তুলে দিল ইন্দোনেশিয়ার চিড়িয়াখানাগুলো। সেখানে এই জীবজন্তুরাই প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

আরও পড়ুন
খাদ্যাভাব চূড়ান্তে, এক পশুর মাংস আরেক পশুকে খাওয়ানোর সম্ভাবনা চিড়িয়াখানায়

ইন্দোনেশিয়া জুড়ে অন্তত ৬০টি অ্যানিম্যাল পার্ক ও চিড়িয়াখানা রয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি থেকে সব বন্ধ। পর্যটকদের আনাগোনা নেই, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ নেই। আপাতভাবে শান্তির পরিবেশ। কিন্তু সেখানেই দেখা দিল সমস্যা। খাবারের সমস্যা। লকডাউনের জেরে গোটা বিশ্বেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। একই অবস্থা এই চিড়িয়াখানাতেও। আর অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকায় চিড়িয়াখানা ও পার্কের প্রাণীদের খাবারের যোগান কমে আসছে। ফলে, অনাহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন
যোগান নেই খাবারের, বেরিয়ে এসেছে পাঁজরের হাড়ও, ধুঁকছেন পশুরাজ

ইন্দোনেশিয়ার চিড়িয়াখানাগুলোতে এই মুহূর্তে ৭০ হাজারের মতো প্রাণী রয়েছে। প্রত্যেকের অবস্থাই এইরকম। এদের মধ্যে রয়েছে সুমাত্রান বাঘ আর বোর্নিয়ার ওরাংওটাংয়ের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীও। চিড়িয়াখানার কর্মীরা নিজেদের মাইনে থেকে আপাতত খাবারের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু তাতে যে বেশিদিন চলবে না, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এই করোনা সংকটও কবে কাটবে, সেটাও বলা যাচ্ছে না। পশুপাখিদের আনন্দে রাস্তায় বেরিয়ে যাওয়ার ছবির উল্টোপিঠে এই ছবিগুলোও প্রবল বাস্তব হয়ে উঠে আসছে আমাদের সামনে।

ছবি ঋণ - Timur Matahari, AFP 

Latest News See More