মাত্র ৫ মিনিটেই ডিমেনসিয়া এবং এমসিআই শনাক্তকরণ

ডিমেনসিয়া এবং কগনিটিভ ইম্পেয়ারমেন্ট, এই দুই রোগের প্রকোপই ক্রমশ বাড়ছে। আর একবার রোগ পাকাপাকিভাবে বাসা বাঁধলে চিকিৎসায় উন্নতি হওয়ার আশা বিরল। তখন স্মৃতিশক্তি আরও দুর্বল হতেই থাকবে। এবার রোগের প্রাথমিক দশাতেই তাদের শণাক্ত করার জন্য নতুন কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থা নিয়ে এলেন জাপানের কানাজাওয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। বিশেষ করে প্রাথমিক দশাতেই ধরা পড়বে, রোগটি আদৌ ডিমেনসিয়া, নাকি কগনিটিভ ইম্পেয়ারমেন্ট।

প্রাথমিক দশায় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষণাদলের সদস্য নাগুচি সিনোহারা। কিছু কিছু যন্ত্র ১০-২০ মিনিটে ফলাফল জানিয়ে দিলেও তা সম্পূর্ণ নিখুঁত হত না। বিশেষ করে রোগটি ডিমেনসিয়া নাকি কগনিটিভ ইম্পেয়ারমেন্ট, সেটা বোঝা যেত না। আর এটাই ছিল এই গবেষণার সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। তবে নতুন অ্যালগরিদম ও নতুন প্রশ্নমালা তৈরি করে পরীক্ষায় নামতেই দেখা গেল, আশ্চর্যরকম সঠিক তথ্য দিচ্ছে নতুন যন্ত্র সি-এবিসি বা কম্পিউটারাইজড অ্যাসেসমেন্ট ব্যাটারি ফর কগনিশন। আর তাও মাত্র ৫ মিনিটে। এর মধ্যেই নিখুঁতভাবে জানিয়ে দিচ্ছে রোগটি ডিমেনসিয়া নাকি মাইল্ড কগনিটিভ ইম্পেয়ারমেন্ট। আগামীদিনে স্নায়ুচিকিৎসার জগতে এই যন্ত্র নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দেবে বলেই আশাবাদী গবেষকরা।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে বাড়ছে অবসাদ আর একাকিত্ব। আর এই মানসিক চাপের ফলেই শেষ জীবনে মস্তিষ্ক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আজকাল তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্নায়বিক অসুখের ঘটনা। কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা আজও পাওয়া যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। সি-এবিসি যন্ত্র সেই জায়গাটি অনেকটাই সহজ করে তুলবে।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ডাইনোসরের চরিত্র বুঝতে মস্তিষ্কে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটিতে

Latest News See More