নতুন ম্যালওয়্যার ছড়াল হ্যাকাররা, নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে আপনার ডিভাইসেরও!

মুহূর্তের ভুলেই সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। সম্প্রতি কড়া সতর্কতা জারি করলেন সাইবার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ‘রোগ’ নামের একটি নতুন অ্যান্ড্রয়েডু ম্যালওয়্যার প্রকাশিত হয়েছে ডার্কওয়েবে। যার মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারুকারীর অলক্ষেই ডিভাইস সম্পূর্ণ পরিচালিত করতে পারবে হ্যাকাররা।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘চেক পয়েন্ট রিসার্চ’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। সংস্থার গবেষকরা জানাচ্ছেন, ম্যালওয়্যারটির জন্য দায়ী ‘ট্রায়ানগুলাম’ নামের একটি হ্যাকার সংগঠন। ডার্কনেট ফোরামে ইতিমধ্যেই বহুলভাবে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে এই ম্যালওয়্যারকে। তবে সবথেকে আশঙ্কার বিষয় হল, কোনো ডিভাইস এই ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যবহারকারী কোনো পূর্বাভাসই পাবেন না। অন্যদিকে তাঁর ডিভাইসে সংরক্ষিত সমস্ত তথ্যই হুবহু প্রতিলিপি হয়ে যাবে হ্যাকারদের কাছে।

২০১৭-এর শুরুতে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিল ট্রায়ানগুলাম। নিজেদের একটি পণ্যকে ডার্কনেট বিক্রি করার টোপ দিয়েই শুরু হয়েছিল হ্যাকিংয়ের কর্মকাণ্ড। পণ্যটি কেনার পরেই রিমোট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি হাইজ্যাক করত ট্রায়ানগুলাম। তবে ‘রোগ’ পূর্ববর্তী হ্যাকিংয়ের সকল ভয়ঙ্করতাকেই ছাপিয়ে গেছে। এই ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে শুধু ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণই নয়, বরং ওপারেটিং সিস্টেমকেও মুছে দিতে সক্ষম হ্যাকাররা।

সদ্য প্রকাশিত ‘রোগ’ নামের ম্যালওয়্যারটি তৈরির পিছনে ট্রায়ানগুলামের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করছে হেক্সাগন নামের আরও একটি হ্যাকার সংস্থা। এই ম্যালওয়্যারটির মূলত দুটি অংশ। একটি ডার্কশেডস ম্যালওয়্যার এবং অন্যটি হ্যাক-শ’। প্রাথমিকভাবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছে বেশ কয়েকটি জিনিসের অ্যাক্সেসের জন্য অনুমতি চায় ‘রোগ’। অনুমোদন না দেওয়া হলে বার বার স্ক্রিনে পপ আপ হতে থাকে সেই মেসেজ। প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পরই প্রথমে ডিভাইসের প্রতিরক্ষা অ্যাপকে মুছে ফেলে হ্যাকাররা। ফলে পরবর্তী ধাপে এই ম্যালওয়্যারকে আটকানোর সমস্ত পথই বন্ধ হয়ে যায় ব্যবহারকারীর কাছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনটি সতর্ক করেছে, ম্যালওয়্যারটি এখনও ডার্কওয়েবে থাকলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সর্বত্র। এর প্রতিরক্ষা ঠিক কীভাবে সম্ভব, সেই পথই খুঁজে চলেছেন সাইবার সুরক্ষা গবেষকরা। তবে এখনও অবধি তাঁরা সন্ধান দিতে পারেননি কোনো সমাধানের। কাজেই যতটা সম্ভব আনঅথরাইজড ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলতে উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা...

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
লকডাউনে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে ১.৭ কোটি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ট্রাই-এর