কর্পোরেট দুনিয়া ছেড়ে নতুন জীবন, ভারতের প্রথম মহিলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর ইনিই

সাইবার ক্রাইম। ভারতে তো বটেই, গোটা বিশ্বের অপরাধ জগতের আধুনিক সংস্করণ এটি। প্রতিদিন অসংখ্য সাইবার অপরাধ ঘটে যাচ্ছে পৃথিবীতে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। মহিলাদের নিগ্রহের অভিযোগও এসেছে প্রচুর। আর সেই অভিযোগগুলির তদন্ত করার ভার যাঁদের ওপর, তাঁদেরই একজন পাত্তাথিল ধান্যা মেনন। ভারতের প্রথম মহিলা সাইবার ক্রাইম তদন্তকারী।

অবশ্য ধান্যার সাইবারের এই দুনিয়ায় ঘটনাচক্রে আসা। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে বিটেক পাশ করে কর্পোরেট দুনিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই, বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। নাচেরও ইতি সেই সময়ই। কিন্তু রাস্তা বেশিদিন মসৃণ ছিল না। একটা সময় ডিভোর্স দিয়ে বেরিয়ে আসেন সংসার থেকে। চাকরি থেকেও ইতি টানেন। হয়ত ভেবেছিলেন রাস্তা শেষই হয়ে গেল, কিন্তু আসল চমক তখনও বাকি ছিল।

এক আত্মীয়ের কথায় ধান্যা শুরু করেন সাইবার ল নিয়ে পড়াশোনা। মনে রাখতে হবে, এই সময়তেই সাইবার ক্রাইমের প্রবেশ ঘটে ভারতে। অপরাধ রূপ বদলে বদলে আরও ভয়ংকর হচ্ছে, যেখানে মেঘনাদের মতো লুকিয়ে আছে অপরাধী। তাকে ধরতে গেলে শুধু আইন নয়, মস্তিস্ক এবং টেকনোলজির সঠিক প্রয়োগ দরকার। পুনের এশিয়ান স্কুল অফ সাইবার ল থেকে ডিপ্লোমা শেষ করার পর, নিজের উদ্যোগেই কাজ করতে থাকেন ধান্যা। শুরুর বছরগুলোতে সাফল্য মুখ দেখায়নি। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে, সাফল্য আসতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সাইবার ক্রাইম।

ধান্যার কাজ অবশ্য থেমে থাকেনি। বরং আরও দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি। ভারতের প্রথম মহিলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষিত করতে। বর্তমানে কেরালার সাইবার ক্রাইম সচেতনতা সংক্রান্ত একটি এনজিও-এর সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর কাজ, মানুষগুলো যাতে কোনভাবে সাইবারের কালো দুনিয়ার কবলে না পড়ে। যাতে সুরক্ষিত থাকে তাদের জীবন, তাদের মুহূর্ত।