১৯৩৬ সালেই মৃত পৃথিবীর শেষ তাসমিনিয়ান টাইগার, পুরনো ভিডিও উদ্ধার

মুখটা ঠিক কুকুরের মতো, আর গায়ে বাঘের মতো ডোরা কাটা দাগ। কেউ বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন এই প্রাণী আসলে কুকুর গোত্রের, আবার তাসমানিয়ার স্থানীয় মানুষ বলেন এটা তো বাঘ। তাসমানিয়ান টাইগার। তবে বাঘ হোক বা কুকুর, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন হিংস্র শিকারী প্রাণীর কথা খুব কমই শোনা গিয়েছে। থাইলাসিন বা তাসমানিয়ান টাইগার, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের এক হারিয়ে যাওয়া রূপকথার মতন। আর সম্প্রতি এই প্রজাতির শেষ প্রাণীটির একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করল ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড সাউন্ড আর্কাইভ অফ অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র ২১ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দর্শক দেখতে পাবেন বেঞ্জামিনের রাজকীয় চালচলন। বেঞ্জামিন, অর্থাৎ শেষ তাসমানিয়ান টাইগার। ১৯৩১ সালে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল বিউমারিস চিড়িয়াখানায়। তবে জঙ্গল থেকে চলে আসার পরেই তার আর মন ভালো ছিল না। সচরাচর নিজের মতোই থাকতো। তারপর ১৯৩৬ সালে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বেঞ্জামিনের। আলোচ্য ভিডিও ক্লিপটি তোলা হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। সম্প্রতি তাসমানিয়ান টাইগার আর্কাইভের তিন সংগ্রাহক এই বিরল ক্লিপটি খুঁজে পেয়েছেন।


অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইউরোপীয়দের প্রবেশের বহু আগে থেকে বাস করত এই প্রজাতিটি। স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে তার সম্পর্কও শত্রুতার ছিল না। কিন্তু ইউরোপীয়রা সেখানে পৌঁছেই শুরু করল লুটপাট। আর তার থেকে  পড়ল না এই প্রাণীও। অবশেষে শিকারিদের গুলিতে একের পর এক বাঘ প্রাণ হারাতে থাকে। এভাবেই একদিন মুছে গেল প্রাণীটির অস্তিত্ব। বেঞ্জামিনের মৃত্যুর পরেই আর কোনো তাসমানিয়ান টাইগার খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিছুদিন পর তাকে বিলুপ্ত প্রাণী বলেও ঘোষণা করা হয়। যদিও এখনও অনেকে দাবি করেন, তাঁরা এই প্রাণীটির দেখা পেয়েছেন। তবে সেই তথ্যের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Powered by Froala Editor