লকডাউন শিথিল হলেও নামছে না বেসরকারি বাস, চিন্তায় রাজ্যবাসী

দীর্ঘ টালবাহানার পরেও কাটলো না জট। সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস। অন্যদিকে লকডাউন কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মানুষের জীবন। আগামী ৮ জুন থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে কাজ শুরু হচ্ছে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে। অথচ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম বাস, এখনও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত সাধারণ মানুষ।

রবিবার রাজ্যের বাসমালিক সংগঠনগুলির মিলিত বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র তো কিছুই মিলল না, বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল। এখনও অবধি প্রায় সমস্ত সংগঠন রাস্তায় বাস না নামানোর সিদ্ধান্তেই অচল রয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনে অপরিবর্তিত ভাড়ায় অথচ স্বল্প সংখ্যক যাত্রী পরিবহন শুরু করলে ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। লকডাউনের পর আবারও সেই ঝুঁকি নিতে রাজি নন কেউই।

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়। যদিও সরকার পূর্ণসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। অথচ প্রাত্যহিক পরিবহনের দুই তৃতীয়াংশ যাত্রীই দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন বলে জানিয়েছেন তপন বাবু। তবে সবদিক বিবেচনা করে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন বাস মালিকরা। প্রয়োজনে ভাড়া নির্দিষ্ট করার জন্য বিশেষ কর্তৃপক্ষ গঠনেরও সুপারিশ করেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। এছাড়াও ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন কর্মীদের স্বাস্থ্যবীমার দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।

রাস্তায় বেসরকারি বাস না নামলেও শহরের ৪০টি রুটে নিয়মিত সরকারি বাস চলবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ৮ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার ২৩৮টি রুটেও পরিবহন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সেটা যথেষ্ট কম। সারা রাজ্যেই গণ-পরিবহনের মূল বাহন বেসরকারি বাস। অথচ তিনগুণ ভাড়া দিয়েও যাতায়াত করা সম্ভব নয় অনেকের পক্ষে। এখন এই সমস্যার নিষ্পত্তি কবে হবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন রাজ্যের মানুষ।

Powered by Froala Editor