প্রথমবারের জন্য ধরা দিল ফোর-ডি ক্রিস্টালের বিক্রিয়া, রহস্যের মুখে পদার্থবিদরা

দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা— এই তিন স্থানীয় মাত্রার বাইরেও পদার্থবিদ্যা আরও এক মাত্রার সন্ধান দেয়। ফোর্থ ডাইমেনশন বা চতুর্থ সেই মাত্রাই হল সময়। কিন্তু সময়ের এই পরিবর্তনকে চাক্ষুষ করার মতো সুযোগ কোথায়? আর তাই এই অদেখার প্রতিই আগ্রহ মানুষের অপরিসীম। এবার সেই খিদেই মেটালেন বিজ্ঞানীরা। সামনে আনলেন বিরল টাইম ক্রিস্টাল বা সময় স্ফটিকের এক বিস্ময়কর বিক্রিয়া।

২০১০ সালেই টাইম ক্রিস্টালের তাত্ত্বিক অস্তিত্বের কথা সামনে এনেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে বাস্তবে কীভাবে টাইম ক্রিস্টাল তৈরি করা যেতে পারে, তার রূপরেখা তৈরি হয়েছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু কী এই টাইম ক্রিস্টাল। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন বিচ্ছিন্ন কোয়ান্টাম স্টেটের ওপরে লেসার রশ্মি ফেললে কণাগুলি উত্তপ্ত হয়ে একটি বিশেষ স্তর তৈরি করে। আঠালো এই স্তরের স্ফটিক কোয়ান্টাম গতিবিদ্যার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য মেনেই চলে। এই স্ফটিকের ব্যবহারে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের দিগন্ত খুলে যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

চৌম্বকীয় উপ-কণা ম্যাগননের সঙ্গে সুপারফ্লুইডের মিশ্রণের পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। যার মধ্যে তাঁরা প্রতিস্থাপিত করেছিলেন দুটি টাইম ক্রিস্টালকে। আর তারপরেই এই দুই স্ফটিকের কার্যক্রম দেখে অবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য করেন দুটি টাইম ক্রিস্টালের ইন্টারযাুইকশনে তৈরি হচ্ছে এক অদ্ভুত ধরনের দোলন, যা স্বাভাবিক পদার্থবিদ্যার সূত্র মেনে নয়। কারণ সেই গতিতে কোনোরকমের শক্তিক্ষয়ই হচ্ছে না। 

তবে এর পারিপার্শ্বিক শর্তগুলোকে বিঘ্নিত করলেই ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে শক্তিক্ষয়। থেমে যাচ্ছে কণাগুলির দোলনগতি। কিন্তু কোথা থেকে আসছে এই প্রারম্ভিক শক্তি? ক্ষয় হয়ে কোথায়ই বা মিলিয়ে যাচ্ছে এই বিশাল পরিমাণ শক্তি? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। এই ধাঁধার সমাধান করতেই কোমর বেঁধে নতুন করে গবেষণা শুরু হচ্ছে পদার্থবিদ্যার রহস্যময় জগতে...

আরও পড়ুন
সম্ভব সময়ভ্রমণ, তবে বদলাবে না বাস্তব - জানাচ্ছে সাম্প্রতিক তত্ত্ব

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
দেশের সবচেয়ে বড়ো মেডিক্যাল সাইক্লোট্রন তৈরি কলকাতায়, চমক বাঙালি বিজ্ঞানীর