ভারতের প্রথম সফল অল-উইমেন এক্সপিডিশন, তিন বাঙালির আনন্দ ভেস্তে গেল ট্র্যাজিক পরিণতিতে

‘বাঙালি মেয়েরা আজকাল বাঘ শিকার করছে, এরোপ্লেন চালাচ্ছে, মাউন্টেনিয়ারিং করছে, ব্যারিস্টারি করছে, সামান্য একটা বিজ্ঞাপনের অফিসে কাজ করতে পারবেন না? এটা কি একটা কথার কথা হল, হ্যাঁ, মিসেস সরকার?’

‘নায়ক’ ছবির দৃশ্য। ট্রেনে যেতে যেতে বিজনেস টাইকুন হরেন বোস একথা বলছেন ‘স্পেকট্রাম অ্যাড এজেন্সি’র মালিক প্রীতীশ সরকারের স্ত্রী মলিকে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অরিন্দম মুখার্জি, বা আরও পরিষ্কার করে বললে অরিন্দম মুখার্জির স্টারডম। কিন্তু সত্যজিত রায়ের ছবিতে বরাবর জায়গা পেয়ে এসেছে যে বিশেষ উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণিটির খুঁটিনাটি, এই ছবিতেও তার অন্যথা হয়নি। একই সঙ্গে আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়। ওই ট্রেনে অদিতি সেনগুপ্তের মতো স্বাধীনচেতা, স্পষ্টবক্তা, সাহসিনী তরুণী পত্রিকা-সম্পাদকও আছেন, যিনি একা কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন, আবার হরেন বোসের স্ত্রীর মতো মানুষও আছেন, যিনি মধ্যাহ্নভোজের জন্য ডাইনিং কারে যেতে রাজি নন। অর্থাৎ, বাঙালি মেয়েদের রূপান্তরের একটি লগ্ন কিন্তু ছবিতে আছে। অবশ্য উক্ত কাজগুলি করতে পারলেই মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে, এ ভাবনা সততই পুরুষতান্ত্রিক। বরং, এ কাজগুলি ছাড়াও বিশ্বসংসারে এমন আরও কাজ রয়েছে, যা কেবল নারীদের দ্বারাই হওয়া সম্ভব।

যাইহোক, ওই হরেন বোসের কথার প্রেক্ষিতেই এবার একটি ঘটনার অবতারণা করা যাক। ‘নায়ক’ যে বছর মুক্তি পেল অর্থাৎ ১৯৬৬, ঠিক তার পরের বছরেই একদল বাঙালি রমণী রওনা হলেন উত্তরাখণ্ডের (তখন অবশ্য উত্তরপ্রদেশই) গাড়োয়াল হিমালয়ের পথে। তাঁদের লক্ষ্য প্রায় কুড়ি হাজার ফিট উচ্চতার রন্টি পর্বতশৃঙ্গ। নেত্রী দীপালি সিংহ এবং ম্যানেজার সুজয়া গুহর নেতৃত্বে ছ’জন তরুণী ছিলেন ওই দলে। তাঁরা হলেন সুদীপ্তা সেনগুপ্ত, লক্ষ্মী পাল, স্বপ্না নন্দী, স্বপ্না মিত্র, শিলা ঘোষ এবং ইন্দিরা বিশ্বাস। দলের একমাত্র পুরুষ সদস্যটি ছিলেন চিকিৎসক ডঃ দীপক সিংহ। বেসক্যাম্প-সহ চারটি ক্যাম্প তাঁরা স্থাপন করেছিলেন বিভিন্ন উচ্চতায়। 

বেস ক্যাম্পে পুরো দল। ছবিতে শুধু সুদীপ্তা সেনগুপ্ত নেই, তিনি আছেন ক্যামেরার পিছনে। ছবি সৌজন্যে - সুদীপ্তা সেনগুপ্ত।

 

রন্টি অভিযানেরই তিন বছর পর, ১৯৭০ সালে আবারও এমন একটি অভিযানের পরিকল্পনা করেন সুজয়া গুহ স্বয়ং। এবারের অভিযানটি ছিল আরও উত্তরে। উত্তর-পূর্ব হিমাচল প্রদেশের লাহুল হিমালয়ে। অভীষ্ট শৃঙ্গটিও, যাকে বলে ‘নামগোত্রহীন’, অর্থাৎ এর আগে কেউই এই শৃঙ্গে আরোহণ করে উঠতে পারেননি। এবারের অভিযানের সকল সদস্যই ছিলেন মহিলা, মায় চিকিৎসকও। এবার সুজয়া গুহই ছিলেন দলনেত্রী, রন্টি অভিযানে তাঁর সহ-অভিযাত্রী তথা ভূতত্ত্ববিদ সুদীপ্তা সেনগুপ্ত ছিলেন তাঁর ডেপুটি। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্নাতকোত্তর ছাত্রী কমলা সাহা, জীবরসায়নবিদ শেফালী চক্রবর্তী, চিকিৎসক ডঃ পূর্ণিমা শর্মা এবং মিলু ঘোষ। যেদিন তাঁরা রওনা দেন, তার কিছুদিন আগেই স্টেটসম্যানে প্রকাশিত হয়েছিল এই খবর – ‘This is the first women’s mountaineering team from Eastern India and also the first expedition to Himachal Pradesh from the eastern region.’ এখানে আরেকটি কথাও উল্লেখ করে রাখা ভালো যে, অনেকেই রন্টি অভিযানকে প্রথম সম্পূর্ণ মহিলা-পরিচালিত অভিযান হিসেবে ধরে থাকেন, তার প্রধান কারণ, চিকিৎসককে মূল আরোহী দলের মধ্যে সেভাবে গণ্য করা হয় না।

সুজয়া গুহর নেতৃত্বাধীন এই দলটির আগে খ্যাতনামা ব্রিটিশ পর্বতারোহী রবার্ট পেটিগ্রু চেষ্টা করেছিলেন এই শৃঙ্গটিতে ওঠার, কিন্তু তিনিও সফল হতে পারেননি। দলের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট সুজয়া গুহকে বলেছিলেন – ‘Don’t kill five maidens of India.’ অভিজ্ঞ পর্বতারোহীর এহেন আশঙ্কা অমূলক ছিল না। লাহুল হিমালয়ের এই অংশটি ছিল অতীব চড়াই, এবং আরোহণের শেষ পর্বে ছিল অসংখ্য ক্রিভাসের (হিমবাহের বরফে তৈরি হওয়া গভীর ফাটল) অজানা মৃত্যুকূপ। কিন্তু তাঁর এই কথাই যেন আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করেছিল দলের প্রত্যেককে। বরফাবৃত চড়াই পর্বতের পদে পদে ঝুঁকি, কিন্তু সেসবই চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ছয় বঙ্গললনার আত্মপ্রত্যয়ের কাছে। তাই বুঝি পর্বতশৃঙ্গের নামকরণটিও তাঁরা করেছিলেন ‘ললনা’।

আরও পড়ুন
দেশের প্রথম ফটোগ্রাফিক স্টুডিও কলকাতাতেই; ১৫৩ বছরের যাত্রায় দাঁড়ি টেনেছিল অর্থাভাব

শৃঙ্গজয়। ললনার ওপরে (বাঁদিক থেকে) সুদীপ্তা সেনগুপ্ত, সুজয়া গুহ এবং কমলা সাহা। ছবি সৌজন্যে - সুদীপ্তা সেনগুপ্ত।

 

মানালি থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেন দুজন শেরপা, চারজন স্থানীয় পোর্টার এবং একজন বাবুর্চি। ৬ আগস্ট মানালি থেকে গ্রাম্ফু, সেখান থেকে চন্দ্রা নদীর ধার ঘেঁষে অভিযান শুরু হয় তাঁদের। দু’সপ্তাহ ধরে চলার পর অবশেষে ললনার বুকে পা রাখতে পেরেছিলেন তিনজন – দলনেত্রী সুজয়া গুহ, সহনেত্রী সুদীপ্তা সেনগুপ্ত এবং কমলা সাহা। যেতে যেতে কখনও বা ধাতব তারের ওপর দিয়ে প্রাণ হাতে করে চন্দ্রা নদী পার করেছেন এক-এক করে, আবার কখনও শেরপাবাহিনী সময়মতো না আসায় বড়া সিগ্রি হিমবাহের কাছে খোলা আকাশের নিচে কেবল স্লিপিং ব্যাগকে ভরসা করে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন ছয় সাহসিনী, অ্যাডভেঞ্চারের উত্তেজনায় সেই কষ্টকে তাঁরা তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন। গুল্মহীন পর্বতপ্রদেশে রুক্ষ পাথুরে সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে ভূতত্ত্ববিদ সুদীপ্তাকে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে বারবারই বসে পড়েছেন পাথরের সামনে। অভিযানের শুরু থেকেই প্রতিবন্ধকতা হয়ে এসেছে খারাপ বৃষ্টিবহুল আবহাওয়া, গাছপালা-বিরল এই অঞ্চলে যা একপ্রকার ব্যতিক্রম। সতেরো হাজার ফিট উচ্চতায় তাঁবু ফেলতে হয়েছিল দুই ক্রিভাসের মাঝখানে, তাঁবু থেকে বেরোতে গেলে কোমরে দড়ি বেঁধে বেরোতেন তাঁরা। ভয় ছিল, যেকোনও মুহূর্তে নেমে আসতে পারে মারণ শিলাধস। পরবর্তী ধাপে ওঠার সময়ে খানিক বেসামাল হয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্তা সেনগুপ্ত, সামান্য এদিক-ওদিক হলেই পতন অবশ্যম্ভাবী। সবকিছুকে ছাপিয়েই ২১ আগস্ট লক্ষ্যে পৌঁছন তাঁরা। 

ললনার পথে কমলা সাহা (বাঁদিকে) ও সুজয়া গুহ। ছবি সৌজন্যে - সুদীপ্তা সেনগুপ্ত।

 

আরও পড়ুন
প্রয়াত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আলোকচিত্রী সাইদা খানম

কঠিনতম অভিযানের প্রথম চেষ্টাতেই এমন সাফল্য, ভারতীয় পর্বতারোহণের ইতিহাসে ২১ আগস্ট নিঃসন্দেহে এক অবিস্মরণীয় দিন, কিন্তু কেই বা জানত নিয়তির ভ্রূকুটি। বেসক্যাম্পে ফিরে এসেছিলেন সকলে। বেসক্যাম্পের শেষ যে গ্রাম, তার কাছেই ছিল একটি হিমবাহজাত নালা, নাম করচা। ওই গ্রাম থেকেই খচ্চর আনতে বেরিয়েছিলেন সুজয়া গুহ, কমলা সাহা এবং শেফালী চক্রবর্তী, সঙ্গে ছিল দুজন পোর্টার। পার্বত্য অঞ্চলে এই খর্বকায় প্রাণীটির কী গুরুত্ব, তা বোধহয় আর বলে দিতে হয় না। কিন্তু যতক্ষণে করচা নালার কাছাকাছি তাঁরা পৌঁছেছেন, ততক্ষণে হিমবাহের গলনের ফলে নালার জল বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। পোর্টাররা তিন পর্বতারোহীকে অপেক্ষা করতে বলে ঘুরপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেল নাগাদ তারা খচ্চর নিয়ে যখন ফিরছে, তখন একটা পাথরের খাঁজে দেখতে পায় সুজয়া গুহর অ্যানোরাক জ্যাকেটটি। কাছে গিয়ে যে দৃশ্য তারা দেখে, তা হয়তো তাদেরও কল্পনাতে ছিল না। দলনেত্রী সুজয়া গুহ পড়ে আছেন পাথরের গায়ে, দেহে প্রাণ নেই। পরে সকলে খোঁজাখুঁজি করে শেফালী চক্রবর্তীকে উদ্ধার করেন। পায়ে জুতো নেই, অবসন্ন দেহে ক্যাম্পে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু কমলা সাহাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

দূরে দেখা যাচ্ছে ললনা শৃঙ্গ। পথ জুড়ে ক্রিভাসের মরণফাঁদ। ছবি সৌজন্যে - সুদীপ্তা সেনগুপ্ত।

 

শেফালী চক্রবর্তীর কাছেই সকলে জানতে পেরেছিলেন পুরো ঘটনা। পোর্টাররা চলে যাওয়ার বেশ অনেকক্ষণ পরে সুজয়া গুহই প্রস্তাব দেন, তাঁরা নিজেরা একবার নালাটি পার হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দেখবেন। কিন্তু আইস অ্যাক্স মাত্র একটি, তাই বাকি দুজন হাত ধরে পার হচ্ছিলেন। হঠাৎই কোনও একজনের পা পিছলে যায়, ফলে তিনজনেই বরফশীতল জলে পড়ে যান। শেফালী চক্রবর্তী তীরের কাছাকাছি ছিলেন বলে কোনোরকমে উঠে পড়তে পেরেছিলেন। কিন্তু সুজয়া গুহ আর কমলা সাহা তা পারেননি। সুজয়া গুহ পাথরের খাঁজে আটকে যান, শেফালী শুনতে পেয়েছিলেন ‘কমলা, কমলা’ বলে তাঁর আর্ত চিৎকার। পরে পুলিশের খোঁজাখুঁজিতে কমলা সাহার অ্যানোরাকটি পাওয়া যায়, কিন্তু তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। তিনি খুব সম্ভবত ভেসে গিয়ে ভয়ঙ্কর চন্দ্রা নদীতে তলিয়ে যান।

আরও পড়ুন
তৈরি করলেন পাখা টানার মেশিন, সেটাই হয়ে গেল ভারতের প্রথম পেটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন

৩০ সেপ্টেম্বরের স্টেটসম্যানে প্রকাশিত দুর্ঘটনার খবর। ছবি সৌজন্যে - সুদীপ্তা সেনগুপ্ত।

 

সুদীপ্তা সেনগুপ্ত পরবর্তীকালে সুপরিচিত হবেন আন্টার্কটিকায় পা রাখা প্রথম ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে, বিজ্ঞানানুরাগী বাঙালির ঘরে ঘরে জায়গা করে নেবে তাঁর লেখা ‘আন্টার্কটিকা’। ভূতত্ত্ববিদ হওয়ার পেশাগত কারণে স্কটল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, চিন, নেপাল-সহ পৃথিবীর বহু দেশের নানা পার্বত্য অঞ্চলে তিনি গেছেন, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে তাঁর দুই শিক্ষকের একজনের নাম তেনজিং নোরগে, সেই তিনিই আর কখনও কোনো পর্বতারোহণ অভিযানে গেলেন না। প্রধান কারণ গবেষণা এবং অন্যান্য পেশাগত ব্যস্ততা তো বটেই, সঙ্গে পঞ্চাশ বছর আগের ওই ঘটনাজনিত মানসিক আঘাত। সেদিন চূড়ান্ত আরোহণের আগের দিনই ছিল তাঁর জন্মদিন। ভারতের সর্বপ্রথম অল-উইমেন এক্সপিডিশনের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে ফোনে ধরা গেল তাঁকে। কথায় কথায় উঠে এল ললনা অভিযানের কথা। তাঁদের অভিযানটি শুধু যে প্রথম ছিল তা নয়, ললনায় এখনও অবধি এটিই একমাত্র সফল অভিযান। কিন্তু তা নিয়ে আনন্দ করা স্বাভাবিকভাবেই অর্থহীন। বলছিলেন – ‘প্রচণ্ডই ট্রমাটিক ছিল পরবর্তী সময়টা। সুজয়াদি তো শুধু টিম-লিডার ছিলেন না, উনি বয়সে বড়ো, অভিজ্ঞতাও অনেক, সবদিক দিয়ে উনিই ছিলেন হেড। সুজয়াদির চলে যাওয়াটা একদমই মেনে নিতে পারিনি। তার উপর সেই সময় আমার পারিবারিক দিকেও একটি দুঃখের ঘটনা ঘটে। আমি তখন পাহাড়ে, আমার ছোটপিসি মারা যান। ফিরে এসে সেই খবর পাই। একেবারে জোড়া আঘাত, যাকে বলে।’ যে নালায় পড়ে চিরকালের মতো হারিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় ‘সুজয়াদি’, সেই করচা নালার কাছে বাস চলে যায় এখন। সবকিছুর মতোই হিমালয়টাও কেমন বদলে যাচ্ছে, আক্ষেপ করছিলেন সুদীপ্তা সেনগুপ্ত।

সুজয়া গুহর সঙ্গে তাঁর আলাপ ছিল মাউন্টেনিয়ারিংয়ের বেসিক ট্রেনিংয়ের সময় থেকেই। সুজয়ার স্বামী ছিলেন কমল গুহ, যিনি একসময়ে ‘মহারাজ’ ছদ্মনামে ‘শঙ্কু’ ওরফে জ্যোতির্ময় ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে যৌথভাবে ‘বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা’ লিখেছিলেন। সুদক্ষ, সেইসঙ্গে বহুল অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন পর্বতারোহী, কঠিন উতরাই পেরিয়ে বেসক্যাম্পে চলে আসা, তারপরেও কেন একটা মাত্র আইস অ্যাক্স থাকা সত্ত্বেও করচা নালা পার হতে চাইলেন সুজয়া গুহ? – দূরত্বে থাকা আমাদের মনে এ প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। কিন্তু, এই ঝুঁকি নেওয়াই বুঝি প্রকৃত সাহসীর সহজাত মানদণ্ড, নিরাপদ বৃত্তে অবস্থান করা আমরা তা বুঝতে অপারগ।

Powered by Froala Editor

More From Author See More