২০৫০-এর মধ্যেই কার্বনমুক্ত হবে গোটা মহাদেশ, নয়া পরিকল্পনা ইউরোপের

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে কার্বনের পরিমাণ। পরিবেশ দূষণ বাড়ার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণী, অথচ এখনও প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করছেন না বহু মানুষই। পৃথিবীকে সবুজ করে গড়ে তোলার জন্য এবার এগিয়ে এল গোটা ইউরোপ মহাদেশ। লক্ষ্য, ২০৫০-এর মধ্যে ইউরোপকে কার্বনমুক্ত করা। আর, এর জন্য ইউরোপিয়ান কমিশন নতুন একটি রোডম্যাপ বানিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। 'ইউরোপিয়ান গ্রিন ডিল' নামের এই রোডম্যাপটি আইনি বৈধতা পেলেই ২০২১ সাল নাগাট গোটা মহাদেশ জুড়ে জারি করা হবে।

সম্পদকে যথাযথ ব্যবহার করে অর্থনৈতিক কাঠামো শক্ত করে গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া জীববৈচিত্র্যকে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনলে পরিবেশে ভারসাম্য অনেকটাই ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাষাবাদ, বিভিন্ন শিল্পে হাল ফেরানোও এই আইনের আওতায় পড়বে বলে জানানো হয় কমিশনের পক্ষ থেকে।

ইউরোপিয়ান গ্রিন ডিলের মূল লক্ষ্য বনভূমি, সমুদ্রের জীববৈচিত্রকে ফিরিয়ে আনা। অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হলে, কার্বনের ব্যবহার অনেকটাই কমবে। তবে এর জন্য চাই যথেষ্ট মূলধন, তাই সাধারণ মানুষ ও প্রাইভেট সেক্টরের গতিশীলতাকেই ভরসা করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন। বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ব্যাঙ্ক, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কগুলি এই উদ্যোগে পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন কমিশন কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি, ২০২০ সালের মার্চ মাসে কমিশন একটি ‘ক্লাইমেট প্যাক্ট’ চালু করতে চলেছে, যেখানে সাধারণ মানুষ তাঁদের পরিবেশ সংক্রান্ত নিজস্ব চিন্তাভাবনা, ডিজাইন ইত্যাদি তুলে ধরতে পারবেন।

এই লড়াই শুরু হয়েছে অনেকদিন আগে থেকেই, গত কয়েকবছরে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোয় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন। তাই আগামী দিনে, এমন পদক্ষেপে মানুষকে পাশে পেলে সাফল্য পাবে, তা নিয়ে আশাবাদী সকলেই। অর্থনৈতিক সাফল্য, বন্যপ্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া, পরিবেশকে সুস্থ ও স্বাভাবিক করে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগের দিকেই এখন তাকিয়ে ইউরোপের পরিবেশপ্রেমীরা।