প্রাচীন জনবসতিতে আবিষ্কৃত ম্যামথের দাঁত, মানুষ কি পোষ মানিয়েছিল ম্যামথকেও?

তুষারযুগের অতিকায় হাতির মতো প্রাণী ম্যামথ। তার লোমশ শরীর আর বিরাট বাঁকানো দাঁতের চেহারা অনেক অ্যানিমেশন ছবিতেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু একটি ম্যামথ বদলে দিতে পারে মানুষের সভ্যতার ইতিহাস? হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটল জার্মানির বোভারিয়া শহরে। প্রাচীন একটি মিনারের উপর গবেষণা চালাতে গিয়ে হঠাৎ প্রত্নতাত্ত্বিকদের হাতে এসে পড়ে একটি ম্যামথের দাঁত। আর কিছু হাড়ের টুকরো। আর এই আবিষ্কারে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পরেছে গবেষকদের কপালে। বহু বছর আগে বিলুপ্ত একটি প্রাণীর দেহাবশেষ এখানে এলো কীকরে?

নানা নতুন নতুন আবিষ্কারে পিছিয়ে যাচ্ছে মানুষের সভ্যতার ইতিহাস। পৃথিবীর নানা স্থানেই প্রাচীন জনবসতির বয়স নিয়ে উঠছে বিতর্ক। সেই তালিকাতেই যুক্ত হল বোভারিয়া শহরের নাম। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা অনুযায়ী জার্মানির এই অঞ্চলে ম্যামথ দেখা গিয়েছে শেষ ২০ হাজার বছর আগে। অথচ যে মিনারকে ঘিরে পরীক্ষা চলছিল, তাকে ঘিরে রীতিমতো জনবসতির ছাপ পাওয়া যায়। তাহলে কত প্রাচীন সেই জনবসতি? নতুন করে গবেষণা শুরু করতে হবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

প্লায়োসিন যুগের বিখ্যাত প্রাণী ম্যামথ, তাকে ঘিরে নানা কাহিনি প্রচলিত। তার বিশাল চেহারাই তার পরিচয়। বাস্তবিকই তাই। বোভারিয়া শহরে পাওয়া দাঁতটিরই দৈর্ঘ্য ৮ ফুটের বেশি। হাড়ের টুকরোগুলির একেকটি ৩০ সেন্টিমিটার থেকে ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত চওড়া। এই বিরাট প্রাণীকেও কি পোষ মানিয়েছিল মানুষ? নানা মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। আপাতত সঠিক উত্তর দিতে পারবে গবেষকরাই। তবে সেই উত্তর পেতে এখনও কিছুদিন সময় লাগবে।

Latest News See More