সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট নয় ৬ ফুটের দূরত্ববিধি, নতুন নির্দেশিকা জারি মার্কিন প্রশাসনের

যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন সামনে আসছে করোনাভাইরাসের অজানা ঘাতক সত্তা। করোনা যে শুধু ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তা নয়। এই ভাইরাস বায়ুবাহিতও বটে। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র দাবি করেছিল এমনটাই। এবার সেই গবেষণাপত্রের দাবিকে মান্যতা দিল মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিল, সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদ নয় ছ’ফুট দূরত্ববিধিও।

গত শুক্রবার একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থাটি। পরিবর্তন আনা হয় কোভিডের তথাকথিত নিরাপত্তা বিধি ও গাইডলাইনে। সেখানেই সিডিসি স্পষ্ট করে দেয়, কোভিডের সংক্রমণ হচ্ছে এয়ারোসলের মাধ্যমে। ফলত, হাঁচি-কাশি ছাড়াও কেবলমাত্র আক্রান্তের নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও বায়ুতে ছড়িয়ে পড়ছে এই প্যাথোজেন। ফলে ৬ ফুট দূরত্ববিধি কার্যকর নয় এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে।

তবে এখানেই শেষ নয়। করোনাভাইরাসের এই সংক্রামক চরিত্র আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে বদ্ধ পরিবেশে। সিডিসি জানাচ্ছে, বায়ুপ্রবাহ না হলে ১ মিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে না করোনাভাইরাসের কণাগুলি। ফলত, বায়ুতে বদ্ধ হয়ে থেকে যায় তারা। ফলত, কোনো ঘর থেকে সংক্রমিত ব্যক্তির বেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঝুঁকি থেকে যায় সংক্রমণের। আর এই কারণেই জনাকীর্ণ অঞ্চলে স্বাভাবিকের থেকে খানিকটা বেশিই থাকে সংক্রমণের মাত্রা। তার থেকেও এই প্রবণতা বেশি যেকোনো পরিবারের মধ্যে। 

ফলত, সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দূরত্বকেও প্রাধান্য দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জানাচ্ছেন, বাড়ির মধ্যেও মাস্ক এবং দূরত্ববিধি বজায় রাখার জন্য। সেইসঙ্গে নজর রাখতে বলছেন বাড়ির ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাতেও। 

আরও পড়ুন
সীমান্ত ছেড়ে, করোনা মোকাবিলায় এবার সামিল সামরিক চিকিৎসকরাও

ভাইরাসের প্রকোপ খানিকটা কমে আসায় সম্প্রতি পুনরায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। জানানো হয়েছিল, ৩ ফুটের দূরত্ব বিধি মেনেই ক্লাস হবে স্কুলে। তবে এই নতুন নির্দেশিকা এবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল সেই সিদ্ধান্তকেই…

আরও পড়ুন
রক্তনালিতে 'বিষ' ছড়ায় করোনার স্পাইক প্রোটিন!

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বিপর্যস্ত নেপাল, আত্মসমর্পণ সরকারের