১৩০ বছর পরে ফের সন্ধান মিলল বিরল গাছের, উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা

আবারও একটি বিরল প্রজাতির গাছের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন করে আবিষ্কার নয়, বরং বলা যায় নতুন করে ফিরে আসা। ১৩৬ বছর আগে শেষ দেখা গিয়েছিল এই বিশেষ গাছটিকে। একটা দীর্ঘ বিরতির পর, ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে আবারও এর দেখা পাওয়া গেল। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা।

আসল নাম গ্লোব্বা অ্যান্ডারসনি । তবে ‘ডান্সিং লেডি’, ‘সোয়ান ফ্লাওয়ার’ নামেই মানুষের কাছে বেশি পরিচিত এই গাছটি। মূলত ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলের গাছ এটি। লম্বা, সরু কাণ্ডের চারিদিকে ফুটে থাকা ছোটো ছোটো হলুদ ফুল— ঠিক যেন রাজহাঁসের মতো। তাই এমন নাম। ১৮৬২ সালে প্রথম এই গাছটির নাম সামনে আসে। বিজ্ঞানী থমাস অ্যান্ডারসনই প্রথম এই গাছটির অস্তিত্ব খুঁজে বের করেন। তাঁর নামেই গাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম রাখা হয়। মুশকিল হল, এতদিন বইয়ের পাতা এবং লোকমুখেই এই গাছের নাম শুনেছেন অনেকে। শেষ দেখা গিয়েছিল ১৮৭৫ সালে। তারপর থেকে ভারতের হিমালয় সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চলে খুঁজেও এই গাছটিকে পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, হয়ত গাছটির অস্তিত্বই পুরোপুরি মুছে গেছে। আর দেখা যাবে না ‘সোয়ান ফ্লাওয়ার’-কে। 

১৩৬ বছর পর সেই গাছেরই সন্ধান পেলেন পুনে এবং কেরালার একদল বিজ্ঞানী। বিগত নয় বছর ধরে এই দলটি সিকিম আর দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায় সন্ধান করছেন। সম্প্রতি তিস্তা ভ্যালির কাছেই একটি জায়গায় সোয়ান ফ্লাওয়ারের সন্ধান পাওয়া গেল। আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘বোটানি লেটারস’-এ এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এখনও পরীক্ষা-গবেষণার শেষ হয়নি। এই গাছটি নিয়ে আরও বিশদে তথ্য সংগ্রহ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। সেইসঙ্গে চেষ্টা চলছে এর সংরক্ষণের। কারণ, দিনের শেষে গাছটি অত্যন্ত দুর্লভ, এবং এদের অস্তিত্বও অত্যন্ত সংকটজনক। হয়ত সত্যিই একটা সময় মুছে যাবে এই পৃথিবী থেকে। কিন্তু সবাই মিলে চেষ্টা করলে একে বাঁচিয়ে রাখাই যায়। এখন তারই উদ্যোগ নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। 

Powered by Froala Editor