বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে বিরল ‘অলিম্পিক’ পুরস্কার পাচ্ছেন এক বাঙালি

আশির দশকের একেবারে শুরুর দিক সেটা। সদ্য স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিক টালবাহানার পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেই বিপর্যস্ত দেশের মানুষ। এমত পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য তৈরি করেছিলেন সঞ্চয় এবং স্বল্প ঋণের জন্য গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। আর এই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাই পাশে দাঁড়িয়েছিল লক্ষ লক্ষ দরিদ্র কৃষকের। ডঃ মহম্মদ ইউনুস। ২০০৬ সালে এই কৃতিত্বের জন্য প্রথম বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে বিরল ‘অলিম্পিক সম্মাননা’ জানাতে চলেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।

আসলে শুধু গ্রামীণ ব্যাঙ্কই নয়, বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্র ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও তাঁর কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে ক্রীড়া উন্নয়ন জোরদার করার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাঙালি। গড়ে তুলেছিলেন বিশেষ তহবিল। তাছাড়াও তাঁর তৈরি সংস্থা ইউনুস স্পোর্টস হাবের হাত ধরেই উঠে এসেছে নতুন প্রজন্মের একাধিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। সেই কারণেই তাঁকে এই বিরল সম্মাননা।

সম্প্রতি, আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুসংবাদ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ২৩ জুলাই টোকিওতে উদ্বোধন হবে অলিম্পিক গেমসের। আর সেদিনই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার। বছর পাঁচেক আগে ক্রীড়া কার্যক্ষেত্রের মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং শান্তি প্রসারের জন্য এই বিশেষ পুরস্কার চালু করেছিল অলিম্পিক কমিটি। তবে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করা হয় না। 

২০১৬ সালে কেনিয়ার অলিম্পিয়ান কিপ কেইনো প্রথমবারের জন্য ভূষিত হয়েছিলেন এই সম্মানে। নিজের বাড়িতেই আস্ত শিশুনিবাস, স্কুল এবং ক্রীড়া প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন কিপ। তারপর বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে অলিম্পিক সম্মান পেতে চলেছেন ডঃ ইউনুস। যা বাঙালির কাছে যথেষ্ট গর্বের বিষয়…

আরও পড়ুন
জিমন্যাস্টিকসের প্রথম ভারতীয় বিচারক হিসেবে অলিম্পিকে দীপক খাবরা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
স্বপ্ন থামতে দেননি শ্রমিক দিদা, দারিদ্রকে হারিয়ে অলিম্পিকে নাতনি রেবতী