হিন্দি ও ইংরাজির পাশাপাশি, এবার থেকে ট্রেনের টিকিটে থাকবে বাংলাও

পশ্চিমবঙ্গে এতদিন ট্রেনের টিকিট কাটলে, টিকিটের ওপর দুটি ভাষা দেখা যেত। ইংরেজি এবং হিন্দি। কিন্তু বাংলা লেখা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হত। এবার সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন যে, এবার থেকে ট্রেনের টিকিটে হিন্দি আর ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাও রাখা হবে।

কয়েক মাস আগে ‘বাংলা পক্ষ’ বলে একটি সংগঠন রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এই অভিযোগ তোলে। বাংলার অনেক মানুষই আছেন, যারা শুধুমাত্র বাংলা অক্ষরই চেনেন। হিন্দি বা ইংরেজি পড়তে পারেন না। রেলের টিকিটে শুধু এই দুটো ভাষা থাকায় তাঁদের অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। তাই মূল দাবি ছিল, ট্রেনের টিকিটে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে বাংলাকেও রাখা হোক।

সংগঠনের এই দাবিই কার্যত মেনে নিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং টুইট করে তাঁরা জানিয়েছেন, এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীদের কথা ভেবেই টিকিটে বাংলায়ও স্টেশনের নাম বাংলায় থাকবে।

সাধারণ নিত্যযাত্রীরা অনেকেই হয়তো খেয়ালও করেননি, ট্রেনের টিকিটে বাংলায় লেখা নেই কিছু। এতই অস্বাভাবিক ব্যাপারটা, মাথাতেই হয়তো আসেনি অনেকের। কিন্তু এই ‘অর্জন’ একপ্রকার বুঝিয়ে দিল, এতদিন ধরে কীভাবে বাংলা ছাড়াই চলছিল সবকিছু। কয়েকমাস আগে আন্দোলনের ফলে মেট্রোর কয়েনেও বাংলা লেখা আনা সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে হিন্দি বোর্ডের বদলে বসছে বাংলা বোর্ড। এই ছোটো-ছোটো সাফল্যগুলো যে বাঙালির নিজস্ব ভূমির ওপর অধিকারকেই সুনিশ্চিত করছে, সেই বৃহত্তর প্রাপ্য নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু না হয়েও উপায় ছিল কি?