করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল আন্টার্কটিকায়, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম উহান শহরে সূত্রপাত হয়েছিল সংক্রমণের। তারপর ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মানচিত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। তবে পৃথিবীর একমাত্র মহাদেশ হিসাবে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ ছিল আন্টার্কটিকা। এবার করোনা হানা দিল সেখানেও। আন্টার্কটিকায় এই প্রথম ধরা পড়ল করোনার সংক্রমণ।

স্পেনের এক সংবাদমাধ্যম এবং ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। জানানো হয়েছে, আন্টার্কটিকায় অবস্থিত চিলির রিসার্চ বেসে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড১৯-এ। যার মধ্যে রয়েছেন ২৬ জন চিলির সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং বাকি ১০ জন গবেষণাগারের কর্মী। 

তবে পৃথিবীর নির্জনতম মহাদেশে সংক্রমণ চোখে পড়তেই নড়েচড়ে বসেন বিজ্ঞানীরা। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় চিলির প্রশাসনও। আক্রান্তদের জাহাজে করে তড়িঘড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চিলিতে। সেখানে পুন্টা অ্যারেনার সামরিক বেসেই রাখা হয়েছে তাঁদের। প্রত্যেকেই আইসোলেশনে রয়েছেন সেখানে। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই সামান্য উপসর্গ ছাড়া সেইভাবে কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি বলেই জানায় চিলির প্রশাসন। 

পৃথিবীর একমাত্র মহাদেশ হিসাবে আন্টার্কটিকায় নেই মানুষের স্থায়ী বসতি। তবে তা সত্ত্বেও গবেষক এবং পর্যটক মিলিয়ে সারাবছর প্রায় ১০০০ জন মানুষ বসবাস করেন আন্টার্কটিকায়। নির্জন প্রান্তরে ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। হাওয়ার গতি এবং হিমশীতল তাপমাত্রার কারণে এই অঞ্চলে দ্রুত ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। ফলে সামান্য অসতর্কতাও ঘাতক করে তুলতে পারে পরিস্থিতিকে। ভাইরাসের মোকাবিলা করতে বর্তমানে আন্টার্কটিকায় পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে গবেষণার কাজ। পাশাপাশি জানা গেছে আন্টার্কটিকায় বর্তমানে উপস্থিত সকল গবেষকদেরই নমুনা পরীক্ষা করা হবে কোভিড১৯-এর...

Powered by Froala Editor