আমি কমল চৌধুরীকে দেখেছি

(নায়ায়ণ সান্যালের গ্রন্থনামের অনুকরণে এই শিরোনাম। প্রথমেই ঋণ স্বীকার করে নেওয়া ভালো, কেন-না এ-লেখার এর চেয়ে ভালো কোনো শিরোনাম হওয়া মুশকিল। সাধারণত কেউ প্রয়াত হলেই এমন শিরোনাম দেখা যায়। কমল চৌধুরী এখনো জীবিত। মৃত্যুর পরে স্মৃতিচারণের চিরাচরিত ট্র্যাডিশনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই লেখার অবতারণা। জীবিত এক ‘কিংবদন্তি’-র প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ। অথবা, নিছক দু-চার কথা।)

আমি কুমুদনাথ মল্লিক-কে দেখিনি। দেখিনি সুধীরকুমার মিত্র, যোগেশচন্দ্র বসু, অচল ভট্টাচার্য্য প্রমুখ স্ব-স্ব জেলার ইতিহাস রচনার দিকপালকেও। তবে, কমল চৌধুরীকে (Kamal Choudhuri) দেখেছি। আর, এই দেখার অহংকারটুকু নিয়ে সোচ্চার হতে পারি সারাজীবন। হ্যাঁ, কমল চৌধুরীকে দেখেছি আমি।

আমাদের বাংলায়, আঞ্চলিক ইতিহাসকাররা বিশেষ জনপ্রিয় নন। সামান্য সংখ্যক পাঠকের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে তাঁদের সীমা। তার মধ্যেও কেউ-কেউ বরেণ্য হয়ে ওঠেন; পরবর্তী যুগের বিভিন্ন প্রবন্ধ-বই-রেফারেন্সে আলোচিত হতে-হতে কিংবদন্তিও। কুমুদনাথ, সুধীরকুমার বা যোগেশচন্দ্রের কথা আজ অনেকেই জানেন। কোনো নির্দিষ্ট জনপদ বা অঞ্চলের ইতিহাস লেখা এক, কিন্তু জেলার ইতিহাসের চরিত্র অনেকটাই আলাদা। সেখানে একটিমাত্র জনপদ নয়, বরং অজস্র জনপদের সমাবেশ। প্রত্যেকটিকে সুতোয় গেঁথে মালা করে তোলা। সেইসঙ্গে নদ-নদী, স্থাপত্য, ভূ-প্রকৃতি, দেব-দেবী—সবই মিশে যায় লতায়-পাতায়। জেলা এক বিস্তৃত ক্যানভাস, অজস্র রঙের পোঁচ ছাড়া যা ভরে ওঠে না সহজে। সেখানেই তুরুপ হয়ে ওঠেন কমল চৌধুরী। খেলতে নেমে, মোক্ষম তাসটি হাজির করে চমকে দেন সবাইকে। কমল চৌধুরী—অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার প্রথম উল্লেখযোগ্য ইতিহাস-রচয়িতা। তাঁর আগেও চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জনপদকে নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে বই লেখা হয়েছে, কিন্তু সমগ্র জেলাটিকে বিস্তৃতাকারে এক সুতোয় বাঁধা সেই প্রথম।

ভাবতে অবাক লাগে, ১৯৮৭ সালের আগে চব্বিশ পরগনা জেলার ইতিহাস নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য বই-ই ছিল না! ’৮৬ সালে অখণ্ড চব্বিশ পরগনা দু-ভাগে ভাগ হল, আর তার ঠিক পরের বছরেই প্রকাশিত হল কমল চৌধুরীর দুটি কিংবদন্তি-হয়ে-যাওয়া বই—‘উত্তর চব্বিশ পরগনার ইতিবৃত্ত’ ও ‘দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ইতিবৃত্ত’। অবশ্য ‘কিংবদন্তি’ শব্দটি বিতর্কিত। আমরা যারা আঞ্চলিক ইতিহাসে আগ্রহী, তাদের কাছে বইদুটি পথপ্রদর্শক। কিন্তু যারা এই জগতের ধারেকাছেও যান না, তাঁদের কাছে কমল চৌধুরী কে আর! 

আরও পড়ুন
ঈর্ষাক্ষাৎকার: কমল চৌধুরী

এই প্রসঙ্গে ফিরে তাকাই আশেপাশের জেলাগুলোর দিকে। কুমুদনাথ মল্লিকের ‘নদীয়া কাহিনী’ ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়। মুনীন্দ্রদেব রায়ের ‘হুগলী-কাহিনী’র প্রকাশ ১৯০৩ সালে; অবশ্য সে-জেলার ইতিহাসের আকরগ্রন্থ ‘হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ’, সুধীরকুমার মিত্র রচিত, প্রকাশ পায় ১৯৬২ সালে (প্রথম খণ্ড)। আরেক বহুচর্তিত বই, সতীশচন্দ্র মিত্রের ‘যশোহর খুল্‌নার ইতিহাস’-ও প্রকাশিত ১৯১৪-তে। অধিকাংশ জেলার ইতিহাসের ‘মূল’ বইগুলো বিশ শতকের প্রথম দুই-তিন দশকের মধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। কোনো-কোনো ক্ষেত্রে ১৯৬০-এর দশক অবধি পৌঁছায়। একেকটি জেলার ইতিহাস নিয়ে একাধিক বইয়ের উদাহরণও কম নয়। এ-ই যখন পরিস্থিতি, সেখানে চব্বিশ পরগনাকে অপেক্ষা করতে হল ১৯৮৭ পর্যন্ত, দু-ভাগে ভেঙে যাওয়ার পর, প্রকাশ্যে এল প্রথম উল্লেখযোগ্য বইটি, কমল চৌধুরীর হাত ধরে।

আরও পড়ুন
অতীত খুঁড়ে তুলে এনেছিলেন বর্ধমানের গৌরব, প্রয়াত আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী

এর আগে ও’ম্যালি-র ‘ডিস্ট্রিক্ট গ্যাজেটিয়ার’, হান্টার-এর ‘স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাকাউন্টস অব বেঙ্গল’, অশোক মিত্রের ‘পশ্চিমবঙ্গের পূজা-পার্বণ ও মেলা’, অসীম চট্টোপাধ্যায়ের ‘চব্বিশ পরগণার মন্দির’-এ চব্বিশ পরগনার ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিক্ষিপ্তভাবে উঠে এসেছে। কিন্তু বইগুলোর মূল লক্ষ্য সামগ্রিক ইতিহাস-অনুসন্ধান হয়ে ওঠেনি কখনোই। প্রায়-অনাবাদি এক ক্ষেত্রে কাজ করতে নামা কমলের। ষাট-সত্তরের দশক থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরা, তথ্য সংগ্রহ, লাইব্রেরিতে দিনের পর দিন। অবশেষে সদ্যবিভক্ত দুটি জেলা নিয়ে একইসঙ্গে দুটি পৃথক বইপ্রকাশ। লেখকের প্রথম বইও ও-দুটিই।

‘উত্তর চব্বিশ পরগনার ইতিবৃত্ত’ বইটির ভূমিকায় কমল লিখেছেন—‘পশ্চিমবঙ্গের এই সুবৃহৎ জেলাটি নিয়ে একখানি বই লেখার বাসনা জাগে ১৯৬৯-৭০ সাল নাগাদ। লক্ষ্য ছিল একখণ্ডে লেখার। কাজও শুরু করি। আঞ্চলিক পত্রপত্রিকায় কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। কয়েকটি লেখা প্রকাশের জন্য নিয়ে গেছেন সম্পাদক। পরে সেই পত্রিকা বা লেখা ফেরত পাইনি। বাসস্থান পরিবর্তন ঘটেছে একাধিকবার। যার ফলে নোট নেওয়া খাতা হারিয়েছে। অবশেষে ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ চব্বিশ পরগণা জেলা দুটি ভাগ হয়। থানা ভিত্তিতে দুটি জেলার বিবরণ নতুনভাবে লেখা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চব্বিশ পরগণার বিবরণ সাধারণত কোম্পানি আমলের পর থেকেই বেশিরভাগ লেখা হয়েছে। তার আগেকার ইতিহাস রচিত হয়নি। ইতিহাস চর্চায় উৎসাহ তেমন অতীতে দেখা যায়নি। সমস্ত আঞ্চলিক বিবরণ বিক্ষিপ্ত ও অগ্রন্থিত। পুরনো সরকারি নথিপত্র উদ্ধার করা খুবই কষ্টকর। এ-ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ তেমন নেই।’

সেই কমল চৌধুরীকেই দেখেছি আমি, ২০২৩ সালে। ৮৬ বছরের বৃদ্ধ—গ্রাস করেছে জরা-ব্যাধি। ১৯৩৭-এ খুলনায় জন্ম, দেশভাগের সময় এপারে চলে আসা, পরবর্তীতে বারাসতের বাসিন্দা। পেশায় সাংবাদিক, কাজ করেছেন যুগান্তর ও সংবাদ প্রতিদিনে। ২০০৩ সালে অবসরগ্রহণ। চব্বিশ পরগনার ইতিহাস লেখার চিন্তা এল কীভাবে, প্রশ্নে সটান জবাব—‘আগে কেউ তেমনভাবে করেনি, তাই...’। একটা জেলাকে চিনতে চাওয়ার চেষ্টা তারপর তাঁর মনকে ছুটিয়ে মারবে জেলা থেকে জেলায়—নদিয়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর, মালদহ, দিনাজপুর হয়ে চট্টগ্রাম, ঢাকা-বিক্রমপুর, নোয়াখালি, সিলেট পর্যন্ত। না, চব্বিশ পরগনার বাইরে অন্য-কোনো জেলা নিয়ে লেখেননি তিনি, বদলে সম্পাদনা করেছেন। খুঁজে-খুঁজে তুলে এনেছেন হারিয়ে-যাওয়া বইপত্র, নথি, প্রবন্ধ। দু-মলাটে একত্রিত করে, একেকটি জেলা ধরে-ধরে বইপ্রকাশ। অথচ, চাইলে ক্ষেত্রসমীক্ষা করে লিখতে পারতেন অন্য জেলা নিয়েও। না-লেখার এই সংযমকে শ্রদ্ধা করি। শ্রদ্ধা জাগে আঞ্চলিক ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখেও। কমল চৌধুরী না-থাকলে, অন্যান্য জেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস হারিয়ে যেত কালের গর্ভে। বাঙালি শুধুমাত্র এ-কারণেও কৃতজ্ঞ থাকতে পারে তাঁর কাছে। 

কমল চৌধুরীকে মনে-মনে গুরুপদে বরণ করেছি প্রথম যৌবনেই। ২০১৬ সালে, যখন ‘বেলঘরিয়ার ইতিহাস সন্ধানে’ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়, ইচ্ছে ছিল, কমল চৌধুরী যদি ভূমিকা লেখেন। তখন সদ্য প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ফলে, সেই ইচ্ছে আর পূরণ হয়ে ওঠেনি। যোগাযোগ হল আরও সাত বছর পেরিয়ে। একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্যে তাঁর খোঁজ। এখনো জীবিত আছেন কি? দু-একটি সূত্র আশ্বাস যোগাল। জোগাড় হল ঠিকানাও। অথচ নাগালে-আসা সমস্ত ফোন নম্বরই অচল। মনে আছে, ঠিকানার আন্দাজে বারাসতের রাস্তায়-রাস্তায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘুরে বেড়ানোর পর খুঁজে পেয়েছিলাম তাঁর বাড়ি। পুরনো এক ঘরের মধ্যে ততোধিক প্রাচীন তিনি। চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বইপত্র, ধূলিমলিন। খাটের ওপর বসে কমল চৌধুরী—আমার কিংবদন্তি। 

প্রথমদিন অবশ্য আলাপ ও প্রাথমিক আলোচনাতেই ফুরিয়েছিল। এক সপ্তাহ বাদে আবার যাওয়া, সাক্ষাৎকার নিতে। প্রথমেই বাধা—লোডশেডিং। সাম্প্রতিককালে এত দীর্ঘ লোডশেডিং নাকি আর হয়নি বারাসতে। গরমে ধুঁকতে-ধুঁকতে আলো ফেরার অপেক্ষা। এল ঘণ্টাখানেক বাদে, মিনিট পনেরো পর চলেও গেল আবার। আমার জেদ, সাক্ষাৎকার নিতে দেরি করব না আর। এক হাতে হাতপাখা দিয়ে কমল চৌধুরীকে হাওয়া করছি, অন্য হাতে রেকর্ডার, মুখে অজস্র প্রশ্ন ও কৌতূহল—সেসব মুহূর্ত ভোলার নয়। ধৈর্য ধরে, সাধ্যমতো উত্তর দিচ্ছেন কমল। গরম তাঁকে অস্বস্তি দিচ্ছে, দমাতে পারছে না। বিস্মৃতি থেকে তুলে আনছেন দুই চব্বিশ পরগনা জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর দিনগুলি। মোমবাতির আলোয় চোখে ছায়া, পরক্ষণেই মনে পড়ার আনন্দে উজ্জ্বল। এভাবেই প্রশ্নের হাত ধরে-ধরে পৌঁছে যান বই থেকে বইয়ে। কাজই তাঁর একমাত্র পরিচয়—বর্তমান পাঠক চিনুক বা না-চিনুক, আফশোস নেই কোনো।

সেই কাজ ও ইতিহাসের তাড়নাই তাঁকে নতুন বই লেখার দিকে এগিয়ে দিচ্ছে, এখনো। জানালেন, কলকাতার ইতিহাস-সংক্রান্ত চারটে বই প্রকাশিত হবে সামনেই। ‘এই বয়সেও কীভাবে এত লেখেন?’ মৃদু হাসলেন উত্তরে। ডায়েরি খুলে দেখালেন একটা অর্ধসমাপ্ত বইয়ের পাণ্ডুলিপি—অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের নিয়ে। বেশ বোঝা যাচ্ছে, ‘ইতিহাসের ভূত’ একবার যার মাথায় চাপে, জরা-ব্যাধি-ক্লান্তি-বয়স কিছুই আটকাতে পারে না তাকে। এমনই অনতিক্রম্য হাতছানি সেসব...

বেশিরভাগ বাঙালিরই ইতিহাসপাঠ থেমে যায় স্কুলের গণ্ডিতে। বলাই বাহুল্য, বৃহত্তর ইতিহাসচর্চার সেই পরিসরে ছোটো-ছোটো দিকে নজর দেওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে না। আর আঞ্চলিক ইতিহাস বরাবরই অবহেলিত, একটেরে—অ্যাকাডেমিক পরিসরে তার অবস্থা দুয়োরানির মতো। অথচ, আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চাই তুলে আনতে পারে ঘরের পাশের সেইসব নিদর্শন, যা কখনো ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া।’ আর এই খোঁজ মানুষকে পৌঁছে দেয় অধিকতর খোঁজের দিকে। সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর উপাদানই হয়ে ওঠে পাথেয়। আর, প্রতিটা অঞ্চল জুড়ে-জুড়ে, গভীরভাবে চেনা যায় জেলাকে, রাজ্যকে, দেশকেও। 

দুই চব্বিশ পরগনা নিয়ে কমল চৌধুরীর কাজগুলি কি ত্রুটিমুক্ত? না, সে-দাবি করতে পারি না পাঠক হিসেবে। অবশ্য আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে, প্রাপ্ত তথ্য বেশিরভাগ সময়ই এত কুয়াশাচ্ছন্ন হয় যে, ধাঁধা লেগে যায়। জনসাধারণের ইতিহাস ও স্মৃতি-সংরক্ষণের অনীহাই এর মূল কারণ। ফলে, কাজ করতে নেমে, ইতিহাসকারকে মুখোমুখি হতে হয় একাধিক বিভ্রান্তির। কমল চৌধুরীও এড়াতে পারেননি সেসব। পরবর্তীতে খণ্ডিত হয়েছে তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যও। কিন্তু যে মূল ভিত্তিটি দিয়ে গেলেন তিনি, তা পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় কিছুতেই। দুটি জেলার প্রথম সার্থক ইতিহাসকার—এই পরিচয়ও অক্ষুণ্ণ থাকবে বরাবর।

৮৬ বছর বয়স এখন তাঁর। অসুস্থ। বিপত্নীক। একাকী। এরপর দীর্ঘজীবন কামনা করা ব্যাঙ্গাত্মক শোনাতে পারে। তাঁর কাজগুলি মানুষের মুখে-মুখে ফিরুক—এমন চাওয়াও অর্থহীন, কেন-না জানি, তা হওয়ার নয়। কিছু-সংখ্যক মানুষ পড়বেন তাঁর মৌলিক ও সম্পাদিত বইগুলি, আরও কিছু-সংখ্যক মানুষ বইয়ের মলাটে দেখবেন তাঁর নাম। বাদবাকি যা-কিছু, অসচেতন এই দিনকালে ভেসে যাবে সময়ের নিয়মে। এই নিয়তি বদলাবে কে!

সেই নিয়তিকে খানিক চ্যালেঞ্জ জানাতেই লেখা হল নিবন্ধটি। অতীতের পত্রপত্রিকার কথা জানি না, তবে, অনলাইনে এই প্রথম তাঁকে নিয়ে আলোচনা। ৫৭ বছরের ফারাক থেকে কমল চৌধুরীকে দেখছি আমি। দেখছি এই বয়সেও ইতিহাসচর্চার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক কিংবদন্তিকে। কিছু শিখতে পারছি কি? আমাদের সব পদক্ষেপেই যখন জড়িয়ে থাকে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেবনিকেশ, তখন কমল চৌধুরীর মতো মানুষ লজ্জায় ফেলে দেন। অস্বস্তি হয়, কুঁকড়ে যাই মনে-মনে, তারপরও চিন্তাকে গড়িয়ে দিই প্রাপ্তির খাতেই—আমি কমল চৌধুরীকে দেখেছি। এ সুযোগই-বা আমাদের প্রজন্মের কজন পেল!

কমল চৌধুরীর ছবি: তন্ময় ভট্টাচার্য

Powered by Froala Editor