পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থানেও পাওয়া যাবে নেটওয়ার্ক, এভারেস্টে চালু হচ্ছে ৫জি পরিষেবা

পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম স্থান মাউন্ট এভারেস্টের শৃঙ্গ। দুর্গম এই চূড়ায় পরিবেশ বেশ প্রতিকূল। সেই সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন এই স্থান। তবে প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষ জয় করেছে প্রকৃতিকে। ৮৮৪৮ মিটার উচ্চতাতেও এবার পাওয়া যাবে সেলফোন নেটওয়ার্ক। পর্বতারোহীরা পাবেন হাই স্পিড ৫জি পরিষেবা। এমনটাই জানাল চিনের একটি টেলিকম সংস্থা।

চিনের অন্যতম টেলিকম জায়েন্ট ‘চায়না মোবাইল’ সম্প্রতি ঘোষণা করে এই কথা। গত বৃহস্পতিবার থেকেই কাজ শুরু করেছে এই টেলিকম সংস্থার এভারেস্টের বেস ষ্টেশন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে স্টেশনটি। মাউন্ট এভারেস্টের অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্পের কাছেই। এ ছাড়াও ৫৩০০ এবং ৫৮০০ মিটার উচ্চতায় দুটি বেস স্টেশন আগেই তৈরি করেছিল ‘চায়না মোবাইল’। এই তিনটি অপারেশনাল স্টেশন থেকে সম্মিলিতভাবে নেটওয়ার্ক প্রদান করা সম্ভব হয়েছে সমগ্র মাউন্ট এভারেস্টের উত্তরভাগে।

চিন এবং নেপালের সীমান্তে অবস্থানের জন্য, এভারেস্ট আরোহনের দুটি পথ রয়েছে। একটি এভারেস্টের উত্তরে চিনের জিগাজে প্রদেশ দিয়ে। অন্যটি নেপাল হয়ে। চিনের রাস্তা ধরে এভারেস্ট শিখরে উঠলেই মিলবে এই পরিষেবা, জানায় ‘চায়না মোবাইল’।

ওই সংস্থার তিব্বত বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার জাউ মিন জানান, পর্বতারোহণ, বিজ্ঞানিক গবেষণা এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে সাহায্য করবে এই নেটওয়ার্ক। হাই স্পিডের পাশাপাশি নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ এবং ক্যাপাসিটি বেশি হওয়ায় করা যাবে নিরবিচ্ছিন্ন লাইভ স্ট্রিম-ও। এই ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী জাউ। এই পরিষেবার আপলোড এবং ডাউনলোড স্পিড থাকবে যথাক্রমে ২১৫ এমবিপিএস এবং ১.৬৬ জিবিপিএস।

‘চায়না মোবাইল’-এর কর্মকর্তারা জানান, অত্যন্ত কঠিন ছিল এই প্রকল্পের রূপদান। প্রকল্পের জন্য খরচ হয় ১ কোটি ইউয়ান। অর্থাৎ, প্রায় ১৪.২ লক্ষ মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যেই চিনের মোবাইল কোম্পানি ‘হাউই’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ‘চায়না মোবাইল’।

২০২০-তে চিনের পথে প্রথম এভারেস্ট আরোহণের ৬০ বছর পূর্ণ হল। সেই সঙ্গে চিনের অফিসারদের দ্বারা সঠিক উচ্চতা পরিমাপের ৪৫ তম বর্ষপূর্তিও এই বছর। সেই কথা মাথায় রেখেই এ-বছরটিকে বিশেষ মাত্রা দিতে চায় ‘চায়না মোবাইল’।

More From Author See More

Latest News See More