গত তিন মাসে দিল্লিতে করোনা-আক্রান্ত ১২০০০ স্বাস্থ্যকর্মী, চাঞ্চল্যকর তথ্য

সারা পৃথিবীজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বিগত কয়েক মাস ধরে মহামারীর অবস্থা কেমন দাঁড়িয়েছে, আজ আর নতুন করে বর্ণনা করার নেই কিছুই। কিন্তু ছোট ছোট টুকরো খবরের মাঝে অনেক খবরই সামগ্রিক চেহারা নিয়ে উপস্থিত হয়নি সময়মতো। আর সেইসব খবর খুঁজে বের করতে সমীক্ষায় নেমেছেন অনেকেই। তেমন একটি সমীক্ষা থেকেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কিছু বিচ্ছিন্ন খবর প্রায়ই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, সেই ধারণা ছিল না। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কেবলমাত্র দিল্লি শহরেই ডাক্তার এবং নার্স মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০০-এর বেশি।

দিল্লি শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক এবং নার্সদের অবস্থা কেমন, জানতে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছে ইউনাইটেড নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে গত ৩ মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১২০০০-এর গণ্ডি। শহরের অনেক ছোটো হাসপাতাল এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসকের নমুনা তো পরিসংখ্যান থেকে বাদই গেছে। কেবলমাত্র শ্রী গঙ্গা রাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে ডাক্তার এবং নার্স মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০-র বেশি।

শুধু দিল্লি শহরের অবস্থাই যদি এমন হয়, তাহলে সারা দেশের অবস্থাটা কল্পনা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য প্রতিটা মহামারীতেই এভাবে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ মানুষদের রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যান চিকিৎসকরা। কিন্তু এই পেশাগত মহত্বের কথা বলে ঘটনার ভয়াবহতাকে তুচ্ছ করা যায় না। চিকিৎসক এবং নার্সরা যেমন বিপদের মধ্যে আছেন, তেমনই তাঁদের সংস্পর্শে এসে সুস্থ মানুষও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। আর এর জন্য দরকার কড়া কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা। কিন্তু সেক্ষেত্রে যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসকের অভাব দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা ১৪ দিন থেকে ৭ দিনে নামিয়ে এনেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেও নতুন করে দানা বাঁধছে আতঙ্ক। ফলে লকডাউন শেষ হয়ে এলেও আতঙ্কের শেষ এখানেই নয়। এবং এই করোনা আতঙ্ক থেকে দ্রুত মুক্তির কোনো সম্ভবনাও দেখা যাচ্ছে না।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
করোনা-আক্রান্তের নতুন রেকর্ড ভারতে, পেরোল ৪ লক্ষও; আপনি-আমি নিরাপদ তো?