কেশবচন্দ্র সেন 'অসামাজিক', বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য

তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদদের ভুল তথ্যের সম্ভার ইতিমধ্যেই দেখেছে গোটা বিশ্ব। কথার মাঝে ভুল তথ্য দিতে বাদ পড়েননি ট্রাম্প থেকে মোদী-মমতা কেউই। কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের অভিযোগ বিরল। কিন্তু এমনই অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল চাপা থাকে না কিছুই। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজ ঘিরেই তৈরি হয়েছে যত বিতর্ক৷ ওই ভিডিওটি থেকে জানা যায়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বুধবার দিনটিকে অপবিত্র মনে করেন এবং কেশবচন্দ্র সেন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে ছিলেন।

বুধবার দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির দিন। ১৮৯১ সালের ৭ই পৌষ মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই দিনটি উপাসনার দিন হিসেবে নির্ধারিত। ছাত্ররা তা মেনেও আসছে এতদিন। কিন্তু একাংশের দাবী, উপাচার্য ছুটির দিন বদলিয়ে তা রোববার করতে চান। এই সংক্রান্ত একটি আলোচনায় তিনি ছাত্রদের জানান যে, কেশবচন্দ্র সেনের তন্ত্রসাধনায় ঝোঁক ছিল যা তিনি তাঁর বক্তব্যে অসামাজিক কাজকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও জানান যে, তৎকালীন সময়ে প্রার্থনার দিনটি প্রথমে শনিবার ঠিক করা হলেও কেশবচন্দ্র সেনের কারণে সেটি বুধবার করা হয়। তাই দিনটি অপবিত্র।

এরকম যুক্তি শুনে রীতিমত অবাক হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। বেশ কিছু ছাত্র এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। উপাচার্যের বক্তব্য ঘিরে এই বিতর্ক কবে থামবে জানা নেই, তবে এ ধরণের মন্তব্য রীতিমত লজ্জাজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।