২০৩০-এর ভিতরে লাগামছাড়া হবে বেকারত্বের সমস্যা, আশঙ্কা ইউনিসেফের

প্রতিবছর বহু সংখ্যক পড়ুয়া কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোচ্ছে। তবে অনেক জায়গায় কান পাতলে একটাই কথা শোনা যাবে— ‘চাকরি কোথায়?’ কিন্তু যারা বেরোচ্ছে, তারা কতটা প্রস্তুত চাকরির জন্য? সেখানেই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে ইউনিসেফ। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, ২০৩০-এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অর্ধেক তরুণ-তরুণীই চাকরির জন্য নিজেদের দক্ষতা হারাবে।

ইউনিসেফের প্রধান হেনরিয়েটা ফোর এই আশঙ্কার কথাই সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন। এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে কমবয়সিদের সংখ্যা বেশি। ফলে, মানবসম্পদ বা হিউম্যান রিসোর্সের পরিমাণও যথেষ্ট। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর চাকরির বাজারের হিসেবে তারা কতটা দক্ষ, সেই সম্পর্কে প্রশ্নচিহ্ন রাখছেন অনেকে। আর সেটাই সরাসরি প্রভাব ফেলবে চাকরির বাজারে। ২০৩০-এর মধ্যে অবস্থা এমন জায়গায় যাবে যে, অর্ধেক তরুণ-তরুণীদের কোনও চাকরিই থাকবে না। অর্থাৎ, বেকারত্বের হার বাড়বে। দক্ষতার অভাব, শিক্ষার পরিকাঠামোর অভাবকেই এইজন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভারত। এই মুহূর্তে ভারতে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৩ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি বেকার সমস্যায় ভুগছে দেশ। তার মধ্যে ইউনিসেফের এই রিপোর্ট ভারতীয় চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কার মুখে ফেলল। ইতিমধ্যেই সরকারকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছে ইউনিসেফ। কিন্তু সেটা কতটা হবে, কত হবে, সেই সম্পর্কে সন্দিহান অনেকেই।