আজীবন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে পারবেন কর্মীরা, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ট্যুইটারের

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে বেনজির সিদ্ধান্ত নিল মাইক্রোব্লগিং ও স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা ট্যুইটার। সম্প্রতি এই সংস্থা ঘোষণা করল, আজীবন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে পারবেন কর্মীরা। বাড়ি থেকে কাজ করলেও বেতনের পরিমাণ থাকছে অপরিবর্তিত। অবশ্য লকডাউনের পর ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য অফিসের দরজা খোলা থাকবে সর্বদাই।

ফেব্রুয়ারি থেকেই ক্রমশ বাড়ছিল করোনার সংক্রমণ। ক্রমে সারা পৃথিবীর ২০০টির বেশি দেশ আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসে। কোভিড-১৯ এর দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে বেশিরভাগ দেশকেই বেছে নিতে হয়েছে লকডাউন। আর তার জেরেই বন্ধ সমস্ত অফিস, কারখানা। মার্চ থেকেই অধিকাংশ আন্তর্জাতিক আইটি এবং স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাগুলি বাড়িতে থেকেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল কর্মীদের। ট্যুইটারের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ঘোষণা করেছিল ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।

বাড়িতে থেকে কর্মীরা যে নিজেদের সবটুকু দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, সে ব্যাপার স্পষ্ট উঠে আসে এক আধিকারিকের কথায়। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ জানান, কর্মীদের কাজে বেশ সন্তুষ্ট সিইও-সহ অন্যান্য মুখপাত্ররা। তাই আজীবন বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করতে কুণ্ঠিত হয়নি আন্তর্জাতিক এই সংস্থা। কর্মীরা চাইলে বাড়িতে থেকেই কাজ করতে পারেন যতদিন খুশি। কর্মীদের নিরাপত্তাই তাঁদের কাছে প্রধান। সঙ্গে পরিবেশ আরামদায়ক হলে বৃদ্ধি পাবে কাজের গুণগত মাণ। এমনটাই মনে করছেন সিইও জ্যাক ডরসি।

পাশাপাশি ট্যুইটার ঘোষণা করে, এ বছরের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্তরকম ইন-পার্সন মিটিং। সেপ্টেম্বরে অফিস খুললেও জরুরি কাজের জন্যই একমাত্র ডাকা হতে পারে বিশেষ কর্মচারীদের। তবে ২০২১-এর পরিকল্পনার কথা এখনো জানানো হয়নি সংস্থার পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে গুগল-সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি বাড়ি থেকে কাজ করার সময়সীমা বাড়িয়েছে। ফেসবুক, অ্যালফাবেট ২০২১ অবধি বাড়ি থেকেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্মীদের। ফেসবুক জরুরি অফিসগুলি ৬ই জুলাই খুলবে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যামাজনের অফিসও। তবে এসবের মধ্যেই ট্যুইটারের সিদ্ধান্ত অবাক করেছে সারা পৃথিবীকে।