কানাডায় নিষিদ্ধ সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর

গত মঙ্গলবার কানাডার নোভা স্কোসিয়া ভয়ঙ্কর বন্দুক হামলার শিকার হয়। আক্রমণকারীরা ব্যবহার করেছিল প্রাণঘাতী মিলিটারি গ্রেড আগ্নেয়াস্ত্র। যার মধ্যে ছিল দুটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল এবং বেশ কয়েকটি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। প্রাণ যায় ২২ জন মানুষের। তবে চুপ করে থাকল না কানাডা সরকার। তদন্ত চালানোর পাশাপাশি বড় পদক্ষেপ নিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সমস্তরকম অ্যাসল্ট আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ হল দেশে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই ধরণের রাইফেল খুব কম সময়ে প্রাণ কেড়ে নেয়। তাই কানাডায় সাধারণ মানুষের কাছে এটি একেবারেই ব্যবহার যোগ্য নয়। হরিণ শিকারের জন্য এই ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র না হলেও চলে। তাই এর ব্যবহার তো দূরের কথা, কেনা-বেচা, এমনকি পরিবহণ বা আমদানি করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ এখন থেকে।

পুলিশের তল্লাশিতে জানা গেছে, নোভা স্কোসিয়ার হামলায় যে অস্ত্রগুলি ব্যবহৃত হয়, লাইসেন্স নেই তার একটিরও। সেখান থেকেই স্পষ্ট যে, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা চলে। তবে কানাডার আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানাগুলিকে সময় দেওয়া হয়েছে ২ বছর। এই সময়ে আইন মেনে না চললে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।

এর আগেও বেশ কয়েকবার জঙ্গিহানার শিকার হয়েছিল কানাডা। ২০১৮ সালে টরোন্টোতে একটি হামলা হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ২জন। ১৩ জন আহত হয়েছিলেন। ১৯৮৯-তে মন্টেরিয়ালে আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছিল। বারবার এই বন্দুক হামলার কারণ খুঁজতে গিয়েই উঠে আসছে একটি পরিসংখ্যান। কানাডায় প্রতি ১০০ জন সাধারণ মানুষের মধ্যে ৩৭.৫ জনের কাছেই রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। অধিকাংশ মানুষ আইন মেনে চললেও, এই ঘটনাগুলির জন্য দায়ী সাধারণের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রর আধিক্য। এমনটাই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল মিনি-১৪ অ্যাসল্ট রাইফেল। এবার ১৫০০ ধরণের মিলিটারি-গ্রেড আগ্নেয়াস্ত্রকে নিষিদ্ধ করা হল কানাডায়।