কেরালার গ্রামে বাধ্যতামূলক ছাতা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্যোগ

পাশাপাশি দুটি খোলা ছাতা। ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে দুজন ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মধ্যের দূরত্ব দাঁড়াবে এক মিটারের বেশি। হ্যাঁ, এভাবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করেছেন কেরালার গ্রামবাসীরা। গ্রীষ্মের রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা মাথায় তো অনেকেই বেরোন। তবে কেরালার গ্রামে সেটাই হয়ে উঠেছে বাধ্যতামূলক। উদ্দেশ্য একটাই, কেউ যেন অন্য কোনো ব্যক্তির খুব কাছে চলে না আসেন।

ইতিমধ্যে কেরালার থানেরমুক্কম গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাতার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি অন্যান্য অঞ্চলেও এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক। সূত্রের খবর, প্রতি অঞ্চলপিছু ১০ হাজার ছাতা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেইসব ছাতার দামের উপর ভর্তুকি দেবে সরকার। এমনকি সেই ভর্তুকি দেওয়া মূল্যেও কেউ সংগ্রহ করতে না পারলে তাঁকে বিনামূল্যেই দেওয়া হবে ছাতা।

কেরালার ব্রেক দ্য চেইন মডেলের নানা উদ্যোগ ইতিমধ্যে বহু মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকারের তৎপরতা যেমন চোখে পড়ার মতো, তেমনই বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে কেরালা সরকারের ছাতা আন্দোলন রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। শুধু কেরালাই নয়, সুরক্ষার জন্য এই বন্দোবস্ত বেছে নিতে পারেন অন্যান্য এলাকার মানুষও।