ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ লাখ, মৃত ৩ হাজারেরও বেশি

করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। অবস্থা ক্রমশ সঙ্গিন হচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের ঘর ছুঁল। সব মিলিয়ে এখানেও অবস্থা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।

মার্চের শেষ থেকে ভারতে চলছে লকডাউন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমস্ত জায়গায় চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। কিন্তু করোনার থাবায় রাশ টানা যায়নি। সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের নিরিখে পৃথিবীর ১১তম স্থানে রয়েছে ভারত। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩,১৫৫ মহারাষ্ট্রে করোনার দাপট সবথেকে বেশি। প্রায় ৩৫ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও উত্তরোত্তর জাঁকিয়ে বসছে করোনা। রাজ্যগুলির মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলা; আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ২৪৪।

এমন অবস্থায় ঠিক কী করণীয়, বুঝতে পারছি না কেউ। দেখতে দেখতে চিনকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে ভারত। লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু বক্তব্য উঠতে শুরু করেছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কিছু কিছু জায়গায় লকডাউনে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও একই কথা বলা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম শিথিল করলেও, সংক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাস্তাঘাটে জমায়েতও দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু জায়গায়। কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? যদি লকডাউন তুলে নিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়, সেটা কি ব্যুমেরাং হয়ে আসবে না? উঠছে সেই প্রশ্নও।

কিন্তু লকডাউন চললে থমকে থাকবে দেশের শিল্প, অর্থনীতি। থমকে থাকবে বিপুল সংখ্যক মানুষের রোজগার। এই দিকটাও তুলে আনছেন কেউ কেউ। খাদ্যাভাবও দেখা দেবে দেশ জুড়ে। এরকম বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা দেশ। কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে সামনে? উত্তর খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টায় সবাই…