চার বছরের মধ্যে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কমানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের

এই মুহূর্তে আমাদের দেশ তথা সারা পৃথিবীতেই সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা হল দূষণ। লকডাউনের সময় সাময়িকভাবে এই দূষণের হাত থেকে আমরা কিছুটা নিষ্কৃতি পেয়েছি। কিন্তু এই সমাধান তো স্থায়ী নয়। অতএব একটি স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক। গত বছরেই দেশের ১০২টি শহরে দূষণের পরিমাণ কমানোর জন্য 'ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম' গ্রহণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই প্রকল্পের অধীনে রিপোর্ট জমা দিয়েছে মন্ত্রক।

রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের নন অ্যাটেনমেন্ট শহর এবং শিল্পাঞ্চলের বায়ু দূষনের মূল কারণ পিএম-১০ এবং পিএম-২.৫ ধূলিকণার উপস্থিতি। আগামী চার বছরের মধ্যে কীভাবে এই ধূলিকণার পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়, সেই নিয়ে একটি ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করা হয়েছে। দূষণের মাত্রা বোঝার জন্য 'কম্প্রিহেনসিভ এনভারমেন্টাল পলিউশন ইনডেক্স'-এর মূল্যায়ন করেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেখানে দূষিত শিল্পাঞ্চলকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সবথেকে দূষিত অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে 'সিভিয়ারলি পলিউটেড এরিয়া' হিসাবে। আর বাকিগুলি চিহ্নিত 'ক্রিটিক্যালি পলিউটেড এরিয়া' হিসাবে। প্রথম তালিকায় আছে রাজ্যের তিনটি শহর। এগুলি হল হাওড়া, দুর্গাপুর এবং ব্যান্ডেল।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগে কতটা আশা রাখা যায়, সেই ব্যাপারে সন্দিগ্ধ অনেক পরিবেশকর্মী। এতদিনের অবহেলায় ক্রমশ বিপন্ন হয়েছে পরিবেশ। আবার সুস্থ অবস্থায় ফেরত আনতে যথেষ্ট পরিশ্রমের প্রয়োজন। এবং তা খুব কম সময়ে সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেছেন, ২০১৫ সাল থেকেই রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে অনেক আলোচনা এবং মামলার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অতএব কোন পথে প্রকৃত সমাধান, জানেন না কেউই।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
চলতি বছরে শুধুমাত্র দিল্লিতেই বায়ু দূষণে মৃত ২৪ হাজার, জানাল সমীক্ষা