শিক্ষক আর স্বাস্থ্যকর্মীরাই ‘সমাজের ভিত্তি’, ভুটানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক তাঁদেরই

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান— এই তিনটেই আমাদের প্রাথমিক অধিকার। তবে আরও দুটো জিনিস আছে। শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্য। এখন তো অনেকেই এই পাঁচটিকে মানুষের প্রাথমিক অধিকার বলে চিহ্নিত করেছেন। আর এখানেই বাজিমাত ভুটানের। কারণ, সেখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বেতন অন্যান্য সবার থেকে বেশি।

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য যে সবার প্রয়োজন, সেটা যে সবার প্রাথমিক সংস্থান, সেটা প্রায় সব রাষ্ট্রই মানে। কাজে করে কিনা, সেটা অন্য প্রশ্ন। কিন্তু যারা সেই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা? তাঁরা তো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজদুটো করে চলেছেন। একটা দেশকে সুস্থ রাখছেন, আর দেশের ভবিষ্যৎ ভিত তৈরি করছেন। কিন্তু তাঁদের পারিশ্রমিক, তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা কতটা ভাবি? ভারতের অবস্থা কী, প্রতিদিনের কাগজ খুললে জানা যায়। কিন্তু অন্যান্য উন্নত দেশেও অবস্থা এক। পরিকাঠামো নয়, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মী-ডাক্তারদের মর্যাদা সেরকম নয়।

ভূটান জোর দিয়েছে সেটাতেই। তাঁদের কাছে, শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁরা একটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং তাঁদের বেশি সম্মান, বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অবশ্যই উচিত। তাই সেখানে সবথেকে বেশি মাইনে হয় এদেরই। এই মুহূর্তে ভুটানে ৮,৭০০ জন শিক্ষক এবং ৪,০০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত সত্যি একটি বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। এমন বিপ্লব যেন প্রতিটা দেশে হয়।