তিস্তা বা রঙ-ন্যিয়োর গল্প

সময়ভ্রমণ : ২

আগের পর্বে

সময়কে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাবে সাধ্য কার? চাইলেই তো আর গনচারভের চরিত্র আবলমোভের মতো হওয়া যায় না। যার সারাদিন শুধু ঘুম আর ঘুম আর ঘুম। আজ তেমন কোনো চরিত্র বাস্তবে থাকলেও তাঁকে স্রেফ গুলি করা হত। হালের সময়ে, ‘সময়’-ই যেন টাকা। আর অর্থের ওপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পৃথিবী, অফিসপাড়া। রোগের ছোঁয়াচে এখন মানুষের কাছে অঢেল স্থিতি। কিন্তু টিকা আবিষ্কারের পর আবার ফিরে আসবে আগের মতো ইঁদুর-দৌড়। ধাক্কা দিয়ে, একে-ওকে টপকে ‘হাম জিতেঙ্গে’-র লড়াই। কিন্তু আগের মতো কি ফিরে আসবে কৃষ্ণচূড়ারা, সবুজ-নীল নদী, ষাট-সত্তরের বিপ্লবের আগুন?

নদীর কথা ভাবলেই তিস্তার কথা মনে পড়ে। আর তিস্তার কথা মনে করলেই মনে পড়ে যায় প্রথম তিস্তা দেখার কথা। বাড়ি থেকে দুপুরবেলায় বেরিয়ে কালিম্পং যাওয়া হয়েছিল। পাহাড়ের ধার দিয়ে খাড়া সরু পথ, ডানদিকে অনেক নিচে নদী, মেঘে কুয়াশায় আচ্ছন্ন অন্ধকার। নিচে তাকাতে ভয় করে। যদি পড়ে যাই? তাহলে কী হবে? সেই থেকে কতদিন চলে গেল, সরু পথ চওড়া হল, পাহাড় নদী কিছুই আর আগের মতো থাকল না, কিন্তু তিস্তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকল ভয়, অচ্ছেদ্য বন্ধনে। ফি বছর খাড়া পাহাড়ের গা বেয়ে প্রায় নিয়ম করে নদীতে পড়ে যায় ছোটোবড়ো গাড়ি, মানুষ। নদী যাদের নেয় তাদের সবাইকে খুঁজে পাওয়া যায় না, বিশেষত বর্ষায়। ডুবুরি নামে, ভেলা নামে, নৌকা নামে, জল তোলপাড় করে ফেলা হয়, তবু পাওয়া যায় না। 

আটষট্টির আগে পঞ্চাশের বন্যা ভূমিকম্প। বাবা সেসময় কি তার আগে থেকেই এ অঞ্চলের বাসিন্দা, তাঁর কাছ থেকে গল্প শুনতাম কালিম্পং যাবার ছোটো রেলগাড়ির। তিস্তার জল ছুঁয়েই প্রায় সে গাড়ির লাইন শিলিগুড়ি থেকে গেইলখোলা অবধি যেত। গেইলখোলার আগের স্টেশন রিয়াং। মংপু যেতে হলে সেখানে নামতে হত। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং রিয়াং স্টেশনে নেমেছিলেন বারকয়েক, সে গল্প মৈত্রেয়ী দেবীর লেখায় পাওয়া যায়। তার কিছু পরে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, এক বিদেশিনী তাঁর ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে রিয়াং অবধি এসেছিলেন। সেখান থেকে তিস্তা ভ্যালি রোড হয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন রংলি রংলিওট চা বাগানে। সে বাগানের এক বাংলোয় এক বছর নির্জনবাসের অপূর্ব চিত্রময় বর্ণনা লিখে গেছেন রুমার গডেন, সেই বিস্মৃত বিদেশিনী। অধুনা বিস্মৃত, কিন্তু এক সময়ে তাঁর খ্যাতি ছিল - তাঁর লেখা 'নদী' উপন্যাস নিয়ে ছবি করেন রেনোয়া। সে ছবির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বাংলার প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র-ব্যক্তিত্বেরা। চলচ্চিত্র বলে যে চমৎকার পত্রিকাটি কলকাতা সিনে সোসাইটি থেকে বার হত, যাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, হরিসাধন দাশগুপ্ত প্রমুখ, সেখানে এই ছবি বিষয়ে বিস্তারিত খবর ছিলো। 

সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে ক্লিক করুন