সেলুলার জেলের তিন যমদূত

‘কালাপানি’ আন্দামান - ১১
আগের পর্বে

কলকাতায় ডিসেম্বরের প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই দ্বীপান্তরের ব্যবস্থা হল বোমা মামলার সাত কয়েদির। অসুস্থতার জন্য বাদ রইলেন উপেন ব্যানার্জি ও সুধীর সরকার। খিদিরপুর ডক থেকে বন্দিদের নিয়ে ‘মহারাজা’ জাহাজ পাড়ি দিল আন্দামানের দিকে। জাহাজের নিচের ডেকে শিকলে বেঁধে রাখা হল তাঁদের। তবে জাহাজ ছাড়ার পরই আড্ডায় মাতলেন বারীন ঘোষ ও তাঁর সহ-বিপ্লবীরা। তাঁদের এমন খোশমেজাজ দেখে অবাক প্রহরী থেকে ক্যাপটেন। বিপদের আশঙ্কা নেই দেখে, খুলে দেওয়া হল হাতের শিকলও। তবে খাবার হিসাবে চিঁড়ে দিতে সাড়া বলে গেল জাহাজের মধ্যে। বাঙালি, দু’মুঠো ভাত না হলে চলে কীকরে? তবে খানিক দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন দারোয়ানরা। মুসলমানের হাতে করা ভাত খেলে, জাত যাবে যে! তবে তার পরোয়া না করেই মহানন্দে সেই ভাত খেলেন বারীনরা। তারপর…

সেলুলার জেলে প্রবেশের পরপর প্রথম মোলাকাত জেলার ব্যারী সাহেবের সঙ্গে। কয়েদিদের কাছে ডেভিড ব্যারী যমস্বরূপ। রাজবন্দিদের (বারীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়) জবানবন্দি অনুসারে এক সপ্তাহ কেউ যদি ব্যারী সাহেবের অধীনে থেকে ঘানি টেনে বা নারকেল ছোবড়া পিটিয়ে আসে তবে ক্রুশের জ্বালা কাকে বলে তা হাড়েহাড়ে টের পাবেন। দুবছর কাটালে অবশ্যই আক্কেল দাঁত বের হবে আর দশ বছর থাকলে ‘গাধা পিটিয়ে কীভাবে মানুষ করা যায়’, সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ হবে।

এই জবান থেকেই বোঝা যায় কালাপানিতে কয়েদিরা তাঁকে কতটা ভয় পেত। ব্যারী সাহেবের চেহারার বৈশিষ্ট্য হল প্রকাণ্ড ভুঁড়ি, বোঁচা নাক, গোল গোল চোখ, রক্তবর্ণ মুখ, সেই মুখে খোঁচা খোঁচা গোঁফের জঙ্গল। শেতাঙ্গটি লম্বায় পাঁচ ফুট আর চওড়ায় প্রায় তিনফুট। অনেকটা যেন একটা প্রকাণ্ড কোলা ব্যাঙকে কোট-প্যান্ট-টুপি পরিয়ে সামনে হাজির করলে যেমন দেখতে হয় তেমনই। আর ঠোঁটে গোঁজা চার ইঞ্চি বর্মা চুরুট। ব্যারী সাহেবের বুলডগের মতো মুখ দেখলেই যেন মনে হয় তাঁকে ভগবান নির্জনে বসে সৃষ্টি করেছেন কালাপানিতে কয়েদি তাড়াবার জন্য।

কলকাতা থেকে এই প্রথম বোমা কেসের আসামীরা হাজির তাঁর রাজ্যে। এমনিতেই ওপর থেকে নির্দেশ আছে যে এই ‘ভদ্রলোক সন্ত্রাসবাদীদের’ দলকে এমন ধরনের কাজে নিযুক্ত করতে হবে যাতে তাঁদের শিরদাঁড়া ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বগলে লাঠি নিয়ে সার দেওয়া দাঁড়ানো বন্দিদের সামনে তিনি এসে দাঁড়ালেন। সম্মুখস্থ রাজবন্দিদের সারির দিকে কিছুক্ষণ নিরীক্ষণ করে তাঁর প্রথম গর্জন বেরোল – “So here you are, at last! Well, you see that block yonder. It is there that we tame lions. You will meet your friends there, but mind you don’t talk.”

এরপর তিনি রাজবন্দিদের উদ্দেশ্যে একটা ছটোখাটো বক্তৃতা দিলেন যার সারমর্ম হল –  “এই যে পাঁচিল দেখচো এ এতো নীচু কেন জানো? কারণ এখান থেকে পালানো এক রকম অসম্ভব। চারদিকে এক হাজার মাইল সমুদ্র, বনে কেবল শুয়োর আর বনবেড়াল ছাড়া কোনো জানোয়ারই নেই বটে, কিন্তু জংলী আছে, তাদের নাম জাররাওয়ালা; তারা মানুষ দেখবামাত্র বিনা বাক্যব্যয়ে চোখা চোখা তীর দিয়ে সাফ এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়। আমায় দেখতে পাচ্ছো? আমার নাম ডি ব্যারী। সোজা ভালমানুষের কাছে আমি তার পরম হিতকারী, ব্যাঁকার কাছে আমি চতুর্গুণ ব্যাঁকা। আমার যদি অবাধ্য হও তা’হলে ভগবান তোমার সহায় হউন, আমি তো হব না সেটা এক রকম স্থির। আর এই পোর্টব্লেয়ারের তিন মাইলের মধ্যে ভগবান আসেন না সেটা মনে রেখো। এই সব লাল পাগড়ি দেখচো, এরা হল ওয়ার্ডার, কালো উর্দিধারী ওরা হল পেটি অফিসার (petty officer)। এরা যা বলবে তা শুনবে, এরা কোনো কষ্ট দিলে আমায় জানাবে, আমি ওদের সাজা দেব।”

আরও পড়ুন
আন্দামান সফরে

 বারীন্দ্রকুমার ঘোষ

 

ব্যারী সাহেব রোমান ক্যাথলিক আইরিশ। সারা বছর কয়েদি ঠেঙিয়ে যে পাপের বোঝা তাঁর ঘাড়ে চড়ত, তা যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে গির্জায় গিয়ে পাদরি সাহেবদের পদপ্রান্তে নামিয়ে দিয়ে আসতেন। বছরের মধ্যে ওই একটি দিন তিনি শান্ত সৌম্যমুর্তি ধরতেন। সেদিন কোনো কয়েদিকে তাড়না করতেন না, আর বাকি ৩৬৪ দিন মূর্তিমান যমের মতো কয়েদি তাড়িয়ে বেড়াতেন।

দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলার ব্যারী সাহেব তো ছিলেনই তবে তিনি যতদিন ছিলেন ততদিন তাঁর শাসন প্রায় মৌখিক ধমক ধামকেই শেষ হয়ে যেত। জেলার সাহেবের হুকুম ছিল, গোলাওয়ালা কয়েদিরা (বোমা কেসের কয়েদি) পরস্পর যেন আলাপ না করে। তার জন্য সবসময় বারীন, উপেন, উল্লাসকর, হেমেন প্রভৃতি, যাঁরা সেলুলার জেলের পাঁচনম্বরে ছিল তাঁদের যথাসাধ্য আলাদা রাখা হত। সেই আলাদা রাখার দায়িত্ব ছিল এক পাঠান পেটি অফিসারের উপর – নাম খোয়েদাদ খাঁ। খোয়েদাদ খাঁ সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা হল – পোর্ট ব্লেয়ারে এরা যমের দোসর, ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে। নিজেরা যেমন কর্মভীরু ও কলুষিতচরিত্র, তেমনি পরকে খাটাতে ওস্তাদ ও দূর্দান্ত। পাঠানের মধ্যে আবার খোয়েদাদ খাঁ পাঠানের রাজা,  চেহারাটি বড়ো মর্মান্তিক - বেঁটে, লোমশ, ঘাড়ে গর্দানে, কালো চাঁপ দাড়ি, বড়ো বড়ো বাঁকা দাঁত, জোড়া ভুরু, নাক উঁচু, মেজাজ তিরিক্ষি, হাতে লাঠি। এই খোয়েদাদ আবার অসম্ভব রকমের বিধি-নিষেধ মেনে চলা লোক, বলা ভালো তার এক কাঠি ওপরে। তার রাজ্যে জোড়া বিনা একা চলবার উপায় একেবারেই নেই, জোড়া ছেড়ে ভুল করে এক পা এগোলেই তীব্রদৃষ্টি খাঁ সাহেব লাঠি হাতে উদ্যত, তখন দাঁত বের করে বিনয়নম্র সোহাগে “হাঁ জী, জমাদারজী কসুর হো গিয়া” বলে ‘যথাসাধ্য ক্ষিপ্রতার সাথে সেই ক্ষণিক পরিণয়ের সাথীটিকে আঁকড়ে ধরা ছাড়া আর গত্যন্তর থাকত না’। অন্য নম্বরে জেলে শুধু জেলার বা সুপারিন্টেন্ডেন্ট আসলে এবং সান্ধ্য প্যারেডের সময়ে জোড়া হতে হয় কিন্তু খোয়েদাদের মগের মুলুক পাঁচ নম্বরে কিন্তু সবসময় জোড়ায় জোড়ায় থাকতে হয়। 

এটাই সব নয়, তার ওপর আরো কিছু খোয়েদাদের নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন আছে যা সবাইকে মেনে চলতে হত নয়তো শাস্তি অবধারিত। সারে সারে জোড়া জোড়া ফাইলে গিয়ে “খাড়া হো যাও” রবে ‘শ্রীকৃষ্ণ দর্শনে শ্রীরাধার মতো থমকে দাঁড়াতে হবে’, “কাপড়া উতারো” রবে কাপড় ছেড়ে লেংটি পরতে হবে, “পানি লেও” রবে বাটিতে করে ঝপ্ ঝপ্ মাথায় জল দিতে হবে। এই গেল স্নান পর্ব। শৌচ পর্বও সেইরকম – সারবন্দি দশায় জোড়া জোড়া পায়খানামুখো হয়ে বসা, আর হুকুমে হুকুমে এক একবার আট দশ জন করে যাওয়া। যতক্ষণ না আদেশ হয় ততক্ষণ সংযম অভ্যাস করা। আর সব চেয়ে ফ্যাসাদ সান্ধ্য প্যারেডে। প্রথম তো জোড়া জোড়া বসা, প্রতি দুই জোড়া গোলাওয়ালার মাঝে দু’তিন জোড়া বার্মা বা মাদ্রাজি জোড়ার আড়াল চাই। বারীনরা এই নিয়মে একবার বসতে পেলে ‘নববধুর মত লাজক্রুদ্ধ অনুচ্চস্বরে’ খাঁ সাহেবের দৃষ্টি এড়িয়ে নিজেদের মধ্যে গল্প করতেন, সুখের মধ্যে কোনো অফিসার উপস্থিত না থাকলে খাঁ সাহেব তা দেখেও দেখত না।

আরও পড়ুন
সেলুলার জেল

প্রতি বিকেলে “ঠন ঠন ঠন”, “ঠন ঠন ঠন”, “ঠন ঠন ঠন” করে তিনবার ঘন্টা পড়ে। তখন কয়েদিদের গুণতি হয় আর সারাদিন কাজের শেষে সেলে ফেরানোর আগে তাদের জামাকাপড় খানা তল্লাশি হয়। এই সময় সাধারণত হুকুম হয় “খাড়া হো যাও” – এই হুকুমে কয়েদিরা দাঁড়িয়ে কাপড় খুলে তল্লাশি দেয়, আবার “উঠায় লেও” হুকুমে কাপড় তুলে পরে নেয়। শেষে “বৈঠ যাও” হুকুমে সবাই বসে পড়ে।

কিন্তু পাঁচ নম্বরে খোয়েদাদ খাঁর ব্যাপারস্যাপরই অন্যরকম। বারীনের কথায় –  কানুনী খোয়েদাদের ব্যবস্থা এর ওপর আরও সাড়ে ছাপ্পান্ন রকম। প্রথমে “খাড়া হো যাও”, তারপর “সিধা এক লাইনসে খাড়া হো যাও”, তারপর “কাপড়া উতারো”, তারপর “হাত মে রাখো”, তারপর “কদম উঠাও”, তারপর “রাখ দেও”। প্রথম হুকুমে সবাই দাঁড়ালেন, দ্বিতীয় হুকুমে এ ওর দিকে দেখতে দেখতে ঘেঁসাঘেঁসি করে এক লাইন হলেন, তৃতীয় হুকুমে কুর্তা ও টুপি খোলা হল, চতুর্থ হুকুমে তা এক হাতে ধরে সামনে লম্বা করে ধরা হল, পঞ্চম হুকুমে এক পা তুলে ‘নৃত্যকুশলা বাইওয়ালীর ঢঙে’ দাঁড়ানো হল এবং ষষ্ঠ হুকুমে এক পা এগিয়ে গিয়ে মাটিতে কাপড় রাখা হল। যদি সবকিছু ঠিক হল ‘খাঁ সাহেব ভাঁঙা বাঁকা দাঁতে দাড়ির জঙ্গলমহাল আলোকিত করে’ মহোৎসাহে বললেন, “সাবাস্ বাহাদুর্ !” সবাই তখন প্রাণের দায়ে তার কৃপা পাবার জন্য যে যার দু’পাটি দাঁত বের করে ‘পুলক হাস্যে তাঁর সম্বর্দ্ধনা করলেন’। এমনি সাড়ে ছাপ্পান্ন রকম হুকুমের পর বসে পড়ে তিসরা ঘন্টি বা তৃতীয় ঘন্টার অপেক্ষা করতে লাগলেন। এই ঘন্টা বাজলে যে যার ‘গোয়ালে’ গিয়ে ঊঠবেন, তাহলে ‘সেই রাত্রের মত খাঁ সাহেবের মারাত্মক সঙ্গসুখ থেকে প্রাণ রক্ষা হয় আর কি!’

উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

 

খোয়েদাদ খাঁয়ের মস্তানি সত্যি খাতির করার মতো। বারীন লিখছেন, দড়ি পাকালেও খাঁ সাহেবের মন পাওয়া দায়। হাতে তুলে হয়তো বললেন, “মোটা হ্যায়। শরম লাগতা নেহি?” ছিলকা হাতে নিয়ে দাঁত খিঁচিয়ে হয়তো টিপ্পনি কাটল, “এই বাঙ্গালী কচড়া হ্যায় (অর্থাৎ নোংরা ভুসা ভরা), গিলা শুখাও (জল শুকাও)।” খাঁ সাহেবের মন পাবার জন্য বারীনরা না করতেন এমন কোনো কাজ নেই। খোয়েদাদ ব্যারী সাহেবকে যমের থেকেও বেশি ভয় করত, ব্যারী  সাহেব জেলের দিকে আসতে আরম্ভ করলে সে বিড়বিড় করে “বিসমিল্লা” নাম জপ করতে লেগে যেত। কয়েদিদের মধ্যে মোল্লা ও নামাজি বলে তার খুব খ্যাতি ছিল। সবাই প্রাণপণে তার ধর্মবুদ্ধির প্রশংসা করতেন, মুসলমান হবার দুরাকাঙ্ক্ষাও কেউ কেউ জানাতেন, খোয়েদাদের উচ্চ হৃদয় ও মানুষ চরাবার ক্ষমতার তারিফ করতেন, আর তা শুনতে শুনতে আনন্দে খাঁ সাহেবের প্রায় ‘দশাপ্রাপ্তি’ ঘটত। বারীন ও অবিনাশ convalescent gang-এ ছিলেন, স্বাস্থ্যপুনরুদ্ধারকারী দলে নাম লেখা হলে মাথাপিছু বারো আউন্স দুধ পাওয়া যায়। বারীন তাঁর দুধ লুকিয়ে মাঝে মাঝে খাঁ সাহেবকে দিতেন, খাঁ সাহেব সেই দুধ দুই একবার আমতা আমতা করে নিত এবং ‘পরম পরিতোষ পূর্বক’ পান করে দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে দন্ত বিকাশ করে বলত, “ইয়া বিসমিল্লা ! খোদানে কেয়া আজ্জব চিজ বনায়া হ্যায়।” বলা বাহুল্য এই দুধটুকু বারীনের ঘুষ, – ‘এই উষ্ট্রভোজী কাবুলি দুর্ব্বাসার ক্রোধশান্তির কামনায়’ বারীনের অর্ঘ্য।

আরও পড়ুন
আলিপুর বোমা মামলা এবং এক বেইমানের শাস্তি

সেলুলার জেলের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আরেক যমদুত ছিল গোলাম রসুল। সে ছিল কয়েদিদের কাজকর্ম বুঝে নেবার মুনশি। এঁর সম্পর্কে বারীন লিখছেন, এই ভবচিড়িয়াখানায় সে আর একটি অপুর্ব চিজ। কালো, রোগা, কদাকার, দীর্ঘদন্ত ও সাহেবের শ্রীচরণের আজ্ঞাবহ ছুঁচোবিশেষ। সে-ই তখন ওয়ার্ডার হয়ে জেল মুনশির কাজ করছে। পারতপক্ষে স্নানের মতো কুকাজটা সে করত না, তাই গন্ধের জ্বালায় তার কাছে দাঁড়ানো দুষ্কর হত। এই গোলাম রসুল অসংখ্য লোককে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করেছে, তার হাতে বেড়ি হাতকড়া খেয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে এমন বহু লোক আন্দামানে টাপুতে টাপুতে ওত পেতে আছে। তাদের আশা এই যে, একবার কোনো অপরাধে গোলাম রসুল বরখাস্ত হয়ে জেলের বাইরে এলেই তারা তাকে দেখে নেবে। কিন্তু ‘ব্যারী  সাহেবের প্রিয়তমা চেড়ীদিগের অন্যতম রসুল বড় ধুর্ত্ত, তাই সে জেল হইতে বাহির হয় নাই’। জেলেই ওয়ার্ডার থেকে ক্রমশ পেটি অফিসার, টিণ্ডাল ও পরে জমাদার হয়ে ‘আজও নির্ব্বিবাদে মোড়ল-যাত্রা নির্ব্বাহ করিতেছে’।

সেলুলার জেলে যমদুতদের উপযুক্ত পরিচর্যায় উপেন, বারীন, উল্লাসকর ও অন্যান্য রাজবন্দিরা বন্দিজীবন কাটাতে লাগলেন। বারীন বলছেন, “খোয়েদাদ, গোলাম রসুল ও ব্যারী সাহেব এই ত্র্যহস্পর্শে আমরা শাশুড়ী ও রক্তচক্ষু পতিদেবতা-তাড়িত বধুর মত পরম সুখে কালাতিপাত করিতে লাগিলাম”।

Powered by Froala Editor