মাস্ক এবং পিপিই কিট থেকে ইট তৈরি করে চমক ভারতের ‘রিসাইকেল ম্যানে’র

কয়েক মাস আগে অবধিও ‘পিপিই’ কিটের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সেইভাবে পরিচিত ছিলেন না। করোনা ভাইরাসের আবহে হাসপাতাল, চিকিৎসা এবং বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার কাজে এখন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে এই কিট। একদিকে যেমন ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাচ্ছে পিপিই, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়াচ্ছে পরিবেশবিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাও। কারণ এই পিপিই কিটের জন্য এক ধাক্কায় বেড়ে যাচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ। এবার এই সমস্যারই বিহিত করলেন ভারতীয় গবেষক।

বিনিশ দেশাই। বয় মাত্র ২৭ বছর। এই তরুণ বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদই রেশ টানলেন বড়ো সমস্যার। কোভিডের মেডিক্যাল ওয়েস্ট দিয়েই বানিয়ে ফেললেন ইট। বলাই বাহুল্য এই ইট সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব। প্রতি ইটে ব্যবহৃত হয়েছে ৫২ শতাংশ পিপিই কিট এবং মাস্কের সংরক্ষণ, ৩ শতাংশ বাইন্ডার এবং ৪৫ শতাংশ কাগজ-জাত বর্জ্য। সব থেকে বড়ো কথা এই ইটগুলি অদাহ্য; রয়েছে জল-প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। এমনকি পোকামাকড়ও ক্ষতি করতে পারবে না এই ইটের।

ভারতে বর্তমানে প্রতিদিন শুধুমাত্র কোভিড সংক্রান্ত কারণে ১০১ মেট্রিকটন জৈববর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ আবর্জনার গতি করার রাস্তাই শুধু দেখাচ্ছেন না দেশাই। সঙ্গে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন হাসপাতাল, থানার মতো জায়গাগুলি থেকে জৈব আবর্জনা সংগ্রহ করার। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘ইকো-বিনস’ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেই, সুরাহা মিলবে সেই সমস্যারও।

তবে এই প্রথম না। এক দশক আগে ২০১০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিনিশ দেশাই উঠে এসেছিলেন খবরের কাগজের প্রথম পাতায়। আঠা এবং শিল্পজাত কাগজ থেকে ইট তৈরি করে চমক লাগিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নামের আগে জুড়ে গিয়েছিল ‘রিসাইকেল ম্যান’। এবারেও গুঢ় এই সমস্যার সমাধান করে তিনি সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন
জমছে প্লাস্টিকের বর্জ্য, আবারও দূষণের শিকার ইংল্যান্ডের ‘গর্ব’ টেমস নদী

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
পিপিই পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নিলেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির গবেষকরা