কলকাতার বায়ুদূষণের একটি বড়ো অংশের উৎসই অজানা, জানাচ্ছে সমীক্ষা

চিকিৎসার জন্য প্রথমে চিহ্নিত করার দরকার রোগটিকে। তবে কলকাতার বায়ুমণ্ডলের ক্রমাগত স্বাস্থ্যের অবনতির কারণটাই অজানা থেকে গেল বিজ্ঞানীদের কাছে। গাড়ির ধোঁয়া, রাস্তার ধুলো এবং কল-কারখানা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। তবে কলকাতায় দূষণের একটা বড়ো অংশের উৎসই অজানা। এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এল সাম্প্রতিক সমীক্ষায়।

কলকাতা ও জমজ শহর হাওড়ার বায়ুদূষণের উৎসগুলিকে চিহ্নিত করতেই সম্প্রতি পদক্ষেপ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। গবেষণার কাজের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে। এই রিপোর্ট থেকে উঠে আসে, শীত ও গ্রীষ্মকালে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ দূষণের উৎসই অজানা।

এই ধরণের দূষণের মূল কারণ পিএম১০ ও পিএম২.৫ ধূলিকণা। যানবাহনের ধোঁয়া, জ্বালানির দহন, কলকারখানা থেকে মূলত পিএম-১০ সূক্ষ্ম ধূলিকণাগুলি নির্গত হয়। কিন্তু এই ধূলিকণার প্রায় ২০ শতাংশের উৎস ঠিক কোথায়, তাই অজানা বিজ্ঞানীদের কাছে। পিএম-২.৫ অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার ক্ষেত্রেও অনেকটাই একইরকম ঘটনা। এই বাড়তি দূষণের জন্য বিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন সেকেন্ডারি এয়ারোসল-কে। 

যদিও এই সেকেন্ডারি এয়ারোসলের ধারণা এখনও স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। চাষের জমি থেকে মিথেনের মত গ্যাস এই ধরণের কলোয়েড তৈরি করে। যেসব ধূলিকণা বায়ুমণ্ডলে থিতিয়ে পড়ে না, তাদেরও জমাট বাঁধিয়ে নামিয়ে আনে নিচে। সেই ধরণের ঘটনাই ঘটছে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতেই রাজ্য সরকার দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি আইআইটির কাছে। অধ্যাপক গজালা হাবিব এবং সাগ্নিক দে’র পরিচালনায় সেই গবেষণাই শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি...

Powered by Froala Editor