বায়ুদূষণের সঙ্গে প্রতক্ষ যোগাযোগ রয়েছে করোনা সংক্রমণের, জানাল গবেষণা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যত বাড়ছে, মানুষের মনের মধ্যে ততই জমা হচ্ছে আতঙ্ক। কীভাবে মুক্তি মিলবে এই ভাইরাস থেকে? এর মধ্যে সংক্রমণের চরিত্র নিয়ে নতুন ধরনের তথ্য হাজির করেছেন একদল ভারতীয় বিজ্ঞানী। তাঁদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বায়ু দূষণের। এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে বাতাসের অবস্থা খানিকটা উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের সংক্রমণ নীম্নমুখী হয়েছে।

সম্প্রতি ‘এনভারনমেন্টাল রিসার্চ’ পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে কেরালা ও কর্ণাটকের পাঁচ গবেষক দেখিয়েছেন, যেখানে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেশি সেখানেই করোনা ভাইরাস অধিক সক্রিয়তার সঙ্গে ছড়িয়েছে। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কমে গেলে এই সংক্রমণ কমেছে। আসলে বাতাসের মধ্যে থাকা জলীয় বাষ্পের মধ্যে দিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে, এমন তথ্য বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছেন। আর এই তত্ত্বকেই আরেকটু খতিয়ে দেখে ৫ বিজ্ঞানী আশঙ্কা করেছেন, বাতাসের ধূলিকণার সাহায্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের লালারস। আর সেই লালারসেই মিশে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস।

তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের অনেক সম্ভবনার মধ্যে দূষণ একটি। এখানে গবেষকরা এমন দাবি করছেন না যে বাতাস দূষণমুক্ত করে ফেলতে পারলেই করোনা সংক্রমণ ঘটবে না। তবে সংক্রমণের হার যে অনেকটাই কমবে, সেকথা বলাই যায়। অন্তত চিন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ভারতের বিভিন্ন হটস্পট থেকে সংগৃহীত তথ্য এ-কথা বলছে যে, লকডাউনের সময় বায়ু দূষণ কমার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে ভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু লকডাউন তুলে নিয়ে শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার পরেও আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ঘটনার একমাত্র ব্যাখ্যা আছে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণের মধ্যেই।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
উপসর্গহীন শহরের ৭০ শতাংশ করোনা-আক্রান্ত, জানাল কলকাতা পুরসভা