জ্বলন্ত লাভার আঁচেই তৈরি পিৎজা, অবাক করা কৌশল গুয়াতেমালার শেফের

পর্যটকদের জন্য দিব্যি এক রেস্টুরেন্ট সাজিয়ে বসেছেন গুয়াতেমালার এক শেফ। তবে তাঁর রান্নাঘরে আগুনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি মাইক্রোওয়েভ জাতীয় কিছুও না। আগুন নেই, তাহলে রান্না করেন কী করে? আসলে রান্নাঘরের কাছেই যে আছে পাকায়া আগ্নেয়গিরি। তার জ্বলন্ত লাভা থাকতে আবার আগুনের কী প্রয়োজন? আর সেই লাভার আঁচেই দিব্যি খরিদ্দারদের মন মতো পিৎজা বানিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড গার্সিয়া।

গুয়াতেমালা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পাকায়া আগ্নেয়গিরি। সারা বছর এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। আর নিসর্গভ্রমণে বেরোলেও, পেটপুজো না করলে কি চলে? সেইসব পর্যটকদের জন্যই রেস্টুরেন্ট খুলেছেন ডেভিড। আর তাঁর তৈরি বিশেষ পিৎজার নাম দিয়েছেন পাকায়া পিৎজা। এই আগ্নেয়গিরিতে ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এমনকি ডেভিড নিজেও অন্য কোথাও এই পিৎজা রান্না করতে পারবেন না।

ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে ডেভিডের এই অভিনব রান্নাঘর। ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর পিৎজা বানানোর ভিডিও। প্রথমেই একটা ধাতব পাত্রে ময়দার মণ্ড ছড়িয়ে দেন ডেভিড। এই পাত্র অন্তত ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে। আর তারপর টম্যাটো, চিজ, আর মাংসখণ্ড। এরপর লাভার স্তরের উপর সেই পাত্র রেখেই রান্না চলে। এই পদ্ধতিতে পিৎজা তৈরি হতে সময়ও লাগে বেশ কম।

তবে ডেভিডের বক্তব্য, সামাজিক মাধ্যমে যত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি, এখনও সেই পরিমাণ বিক্রিবাটা বাড়েনি। আসলে করোনা অতিমারীর কারণে মানুষ ঘুরতে আসছেন না সেভাবে। তবে এই পরিস্থিতি মিটলেই যে পাকায়া আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই রেস্টুরেন্ট, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ আশাবাদী তিনি। আর এই কাজে বিপদও কি নেই? সারাক্ষণ তাপনিরোধক পোশাক পরে থাকতে হয় পা থেকে মাথা পর্যন্ত। আর হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে কী হবে, তা তিনি নিজেও জানেন না। কিন্তু সেসবের ভয় পেলে কি আর আশ্চর্য কিছু সৃষ্টি করা যায়?

আরও পড়ুন
হঠাৎ জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ, বিপন্ন সেন্ট ভিনসেন্ট দ্বীপ

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে মৃত্যু প্রভু ও ক্রীতদাসের, ২০০০ বছর পর উদ্ধার দেহ!