আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে মৃত্যু প্রভু ও ক্রীতদাসের, ২০০০ বছর পর উদ্ধার দেহ!

ভিসুভিয়াস, নামটা শুনলেই আজও মনের মধ্যে একটা আতঙ্কের ভাব তৈরি হয়। যদিও ১৯৪৪ সালের পর আর কোনো বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি, তবুও ভিসুভিয়াসকে একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বলেই মনে করা হয়। অথচ তার মধ্যেই খননকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। আর সেই গবেষণায় উঠে আসছে আশ্চর্য সব তথ্য। এক অতি প্রাচীন সমাজের ছবি। ভিসুভিয়াসের বিস্ফোরণে যে সমাজ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।

সম্প্রতি ইতালির পম্পাই শহর থেকে পাওয়া গেল তেমনই অবাক করা দুই মানবদেহাবশেষ। আর প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, যে দুজন মানুষের কঙ্কাল আবিষ্কার হয়েছে, তাঁরা সম্পর্কে প্রভু এবং ক্রীতদাস ছিলেন। কিন্তু আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ সেই সামাজিক বিভাজন ভেঙে দিয়েছিল। দুজনেই প্রাণপণে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম বিষ্ফোরণের ছাই থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। কিন্তু আবার বিস্ফোরণের ধাক্কা সামালাতে পারেননি। পুড়ে ছাই হয়ে গেলেন দুজন মানুষ।

গবেষকদের মতে, এই বিস্ফোরণ ঘটে খ্রিস্টিয় প্রথম শতকে। ২০১৭ সালেই ওই একই শহর থেকে পাওয়া যায় তিনটি ঘোড়ার অবশেষ। তারাও একটি আস্তাবলে বাঁধা অবস্থায় পুড়ে মারা যায়। দুই ঘটনা একই সময়ে ঘটেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আজ থেকে দুই শতাব্দী আগে প্রত্নতাত্ত্বিকরা এক তরল চকের ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই একই পদ্ধতিতে আগ্নেয়শিলার মধ্যে প্রাণীর দেহাবশেষ খোঁজার কাজ চলছে। শুধু প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে। এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের ব্যবহারে কাজ হয়েছে আরও সহজ। আর হারিয়ে যাওয়া সমাজের অন্তিম হাহাকারের ছবি যেন এক ডিস্টোপিয়ার ছবি এঁকে চলেছে।

Powered by Froala Editor