তিন দশক পর প্রকৃত বাসস্থানে ফিরল প্যাঙ্গোলিন, খুশির হাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকায়

এই পৃথিবী থেকে রোজ কত প্রাণীই যে হারিয়ে যাচ্ছে, তার খবর আর কে রাখে? কিন্তু হারিয়ে যেতে যেতেও যদি আবার ফিরে আসে কোনো প্রাণী? অবাক হবেন নিশ্চই। আর প্রকৃতি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা আনন্দিতও হবেন রীতিমতো। আর সেই প্রাণীর নাম যদি হয় প্যাঙ্গোলিন, তাহলে তো কথাই নেই। হ্যাঁ, ঠিক এমন অবাক করা ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাটাল প্রদেশে।

দক্ষিণ আফ্রিকার একেবারে পূর্বদিকে অবস্থিত নাটাল প্রদেশ। এখানের জীব-বৈচিত্র নিয়ে এখনও জানাবোঝার যথেষ্ট অভাব আছে। কিন্তু এখানেই কোয়া-জুলু অঞ্চলে বিরল প্যাঙ্গোলিনের প্রজাতি বহুদিন ধরে প্রাণী-বিশেষজ্ঞদের গবেষণার বিষয়। শুধুই গবেষক নন, প্যাঙ্গোলিনের সন্ধানে আসে চোরাশিকারির দলও। বেআইনি বাজারে যে এর থেকে বেশি দামি জিনিস নেই বললেই চলে।

প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে বিরলতম প্রাণীর তকমা নিয়ে কোনোরকমে টিকে ছিল নাটালের স্থল-প্যাঙ্গোলিন। এর মধ্যেই চোরাশিকারিদের কবলে পড়ত অনেকে। চিনের ভেষজ ওষুধের উপাদান হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারে চলে যেত প্যাঙ্গোলিনের আঁশ। নানা আইন প্রণয়ন করেও কোনো সুফল মেলেনি। কিন্তু তাতে হতাশ হননি আফ্রিকান প্যঙ্গোলিন ওয়ার্ক গ্রুপের সদস্যরা। জেনসন, নাইলররা নিজেদের অদম্য জেদে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে আনতে পারলেন নাটাল প্যাঙ্গোলিন। বিপন্ন প্রানীর তালিকায় সম্প্রতি একেবারেই নিচের দিকে নেমে এসেছে এই প্রানী। আর তার কারণ বিগত কয়েক দশক ধরে চোরাশিকারিদের হাত থেকে প্যাঙ্গোলিন উদ্ধার করে তাদের আবার বাসযোগ্য পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ। এভাবেই হয়তো আগামী দিনে গোটা আফ্রিকার প্যাঙ্গোলিনদের সুরক্ষিত করতে পারবেন তাঁরা। এখন অন্তত সেই স্বপ্নই দেখছেন জেনসন, নাইলররা।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১২৯ বছর পর আসামে ফিরল বিশেষ প্রজাতির সাপ, উৎসাহিত বিজ্ঞানীরা