নিউজিল্যান্ড প্রথম নয়, এই ৮টি দেশ করোনামুক্ত হয়েছে আরও আগেই

সম্প্রতি নানা দেশের সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাকিন্ডা আর্দিনের হাসিমুখ। সেইসঙ্গে যেন উৎসবের মেজাজে সেদেশের মানুষ। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তাঁরা হারিয়ে দিয়েছেন করোনা ভাইরাসকে। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন আক্রান্ত শেষ ব্যক্তিটিও। তবে এইখানে এসে পড়ছে একটি কথা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে কিন্তু নিউজিল্যান্ড প্রথম সফল দেশ নয়। এর আগে আরও ৮টি দেশ তাদের সীমানা থেকে দূর করতে পেরেছে এই মারণ ভাইরাস। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই দেশগুলিকে।

মন্টিনিগ্রো, ইউরোপে বসনিয়া আর সার্বিয়ার মাঝে বালকানস তীরবর্তী এই দেশে প্রথম সংক্রমণ ঘটে ১৭ মার্চ। তারপর শুরু লকডাউন। আর তাতেই মুক্তি। মাত্র ৩২৪ জনের শরীরে থাবা বসাতে পেরেছিল এই ভাইরাস। তারপর ২৪ মে নিজেদের করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করে মন্টিনিগ্রো সরকার।

২১ মার্চ তারিখে নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির শরীর থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের ইরিত্রিয়া দেশে। তবে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ৩৯-এই আটকে যায়। ১৫ মে সংক্রমণের সমস্ত সম্ভবনা মুছে ফেলে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় ইরিত্রিয়া।

ওশিয়ানিয়ার সমুদ্রের বুকে কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে তৈরি পাপুয়া-নিউগিনি। ২০ মার্চ প্রথম সংক্রমণের ঘটনা ঘটার পর শুরু হয় রাত্রিকালীন কারফিউ। আর তার ফলে মাত্র ৮ জনেই আটকে যায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটি করোনামুক্ত ঘোষিত হয় ৪ মে।

এছাড়াও এই তালিকায় আছে সিসিলি, হলি সি, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ফিজি এবং পূর্ব তিমুর। তবে এইসব দেশের কোথাও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫-এর বেশি নয়। কোনো দেশকেই ঠিক করোনা বিধ্বস্ত বলে উল্লেখ করা যায় না। সেদিক থেকে নিউজিল্যান্ড অবশ্যই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। এক হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত মানুষের মধ্যে মাত্র ২২ জনের মৃত্যু ঘটেছে সেখানে। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাকি সবাই। অতএব এই সাফল্য প্রত্যেকের মধ্যেই একটা আনন্দের অনুভূতি এনে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।

Powered by Froala Editor