গার্হস্থ্য হিংসায় বন্দি মহিলাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেবে কলেজ পড়ুয়ারাই!

লকডাউনে বন্ধ কলেজ। কিন্তু নিষ্কর্ম হয়ে আর কতদিন বসে থাকা যায়? অসহ্য লাগছিল আমেরিকার দুই বন্ধু ওমর সলিমান এবং নিক ফ্রেডম্যানের। তবে এমন একটা কিছু করতে হবে, যা সমাজের বুকে একটা ছাপ রেখে যাবে। আর এভাবেই শুরু হল একটি উদ্যোগ। উদ্যোগের নাম কলেজ হাঙ্কস হলিং জাঙ্ক অ্যান্ড মুভিং। কী এই উদ্যোগ? আসলে একটি পরিবহণ সংস্থা। তবে তার মূল উদ্দেশ্য আজও যেসব মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে বাড়িতে বন্দি, তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া।

পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকার ৬০ শতাংশ মহিলাই কোনো না কোনোভাবে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলির কথা তো বলাই বাহুল্য। তবে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার বা সেই বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা নেই অনেকেরই। তাঁদের জন্যই তৈরি কলেজ হাঙ্কস। ইতিমধ্যে গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে আমেরিকায় শুরু হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন কলেজ হাঙ্কসের সদস্যরা। এখন আর দুজন নন। এই কয়েক মাসেই তৈরি হয়ে গিয়েছে আঞ্চলিক বাহিনীও। তারপর সংশ্লিষ্ট সদস্যরা বন্দি মহিলাদের নিরাপদে পৌঁছে দেন সরকারি আশ্রয়ে।

এছাড়াও আরও নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত কলেজ হাঙ্কস। কোভিড পরিস্থিতিতে ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সামগ্রীও পৌঁছে দেন বিনামূল্যে। আর রাস্তার ধারে অভুক্ত শিশুদের হাতে তুলে দেন খাবারের প্যাকেট। সামান্য একটু মানবিকতাই তো পারে সমাজের চেহারাটা বদলে দিতে। সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন ওমর এবং নিক।

Powered by Froala Editor

Latest News See More