লকডাউনের মধ্যেই উদ্ধার লীলা মজুমদারের অপ্রকাশিত লেখা-চিঠি-ছবি

এই দীর্ঘ লকডাউনে নাজেহাল হচ্ছেন অনেকেই। তবে, বাংলা সাহিত্যের জন্য এই লকডাউন অত্যন্ত ভালো কিছু খবর নিয়ে এসেছে। যাকে বলে, রীতিমতো গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল লীলা মজুমদারের নাম। সম্প্রতি তাঁর অপ্রকাশিত বেশ কিছু লেখার খোঁজ পাওয়া গেল। সঙ্গে বিভিন্ন চিঠি, ছবি ও অন্যান্য কাগজপত্রও। সব মিলিয়ে সাহিত্যানুরাগীদের কাছে এ এক বিরাট খবর।

‘সন্দেশ’ পত্রিকার তরুণ সদস্যরা বেশ অনেকদিন ধরেই লীলা মজুমদারের অপ্রকাশিত লেখা নিয়ে কাজ করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন লীলা মজুমদারের পরিবারের লোকেরাও। অবশেষে লকডাউনের মাঝেই বরেণ্য সাহিত্যিকের নিজস্ব কালেকশন থেকে উঠে এল মহামূল্য কিছু জিনিস। যার মধ্যে আছে বেশ কিছু অনুবাদ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী’র ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন লীলা মজুমদার। অবশেষে সেটির খোঁজ মিলল। এছাড়াও জেমস জয়েস ও শেক্সপিয়রের কিছু কাজের অনুবাদও পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি রয়েছে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা অসংখ্য গদ্য। নন্দলাল বসু’র স্কেচ থেকে শুরু করে অন্নদাশঙ্কর রায়, রবীন্দ্রনাথ, আশাপূর্ণা দেবী, সত্যজিৎ রায় প্রমুখের চিঠিপত্র— সব মিলিয়ে হীরের খনি! এই সবকিছু নিয়ে কাজ শুরু করেছেন সন্দেশের তরুণ সদস্যরা। সৌম্যকান্তি দত্ত ও তাঁর বন্ধুরা মিলে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করেছেন। লকডাউন মিটলে এক এক করে সেসব আমাদের সামনে আসবে।

কয়েকদিন আগেই সত্যজিৎ রায়েরও বেশ কিছু অপ্রকাশিত চিঠি, ফটোগ্রাফ পাওয়া গিয়েছিল। এবার তাঁর ‘লীলুপিসি’র লেখা সেই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিল। আপাতত সমস্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় পাঠকমহল। তারপরই এমন দুর্লভ মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন তাঁরা। একইসঙ্গে লীলা মজুমদার ও সত্যজিৎ রায়ের অপ্রকাশিত কালেকশন, অপেক্ষা করাও যে বড়ো কঠিন!

More From Author See More