কালীপুজোর মরশুমে বাজি কেনাবেচা নিষিদ্ধ, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কালীপুজোর মরশুম এবার পালিত হোক বাজি ছাড়াই, নির্দেশ কলকাতা আদালতের। উড়িষ্যা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির মতোই একই পথে হাঁটল রাজ্যও। কালীপুজোর আগেই নিষিদ্ধ হল সমস্ত রকম বাজির কেনাবেচা। তবে শুধু কালীপুজো বা দিওয়ালিই নয়, কার্তিক পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোতেও নিষিদ্ধ হয়েছে বাজির ব্যবহার।

প্রতিবছরই কালীপুজোর প্রাক্বালে শব্দবাজির ব্যবহার বন্ধ করার জন্যই প্রচার চালায় প্রশাসন। তবে তাতে লাভ হয় না কিছুই। তবে এই বছর করোনা পরিস্থিতির জন্যই শব্দদূষণের পাশাপাশি প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছিল বায়ুদূষণও। কোভিডের সময়ে বায়ুদূষণের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সম্ভাবনা ছিল মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ারও। রাজ্য দূষণমন্ত্রক, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি পৌঁছেছিল বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের কাছ থেকে। আর সেই সমাধান খুঁজতেই সমস্তরকম বাজির বিক্রিই আইনত বন্ধ করল রাজ্য। 

সেইসঙ্গে কলকাতা উচ্চ আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, আগামী জগদ্ধাত্রী পুজো, কালীপুজোতেও অব্যহত থাকছে বিধিনিষেধের নির্দেশিকা। দুর্গাপুজোর মতোই এই মণ্ডপগুলিও বিবেচনা করা হবে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে। প্যান্ডেল থেকে ৫ মিটার দূর অবধি থাকবে নো-এন্ট্রি জোন। তবে পুজো কমিটির সদস্যরা মণ্ডপের ভিতরে উপস্থিত থাকতে পারেন। তার জন্যেও মণ্ডপের আয়তনের উপর ভিত্ত করে সদস্য সংখ্যার বিভিন্ন সীমা করে দিয়েছে আদালত।

অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন প্রাথমিক রায় জানান ছটপুজো নিয়েও। দাবনি রাখেন রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ হোক ছটপুজো। তবে মহামারীর এই আবহে কলকাতার অন্যান্য ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েই উঠছিল প্রশ্ন। এদিন বিধি-নিষেধ এবং নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সম্পূর্ণ নীল-নকশা রাজ্যকে জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করে আদালত। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত রায় জানানো হবে ১০ নভেম্বরের শুনানিতে...

Powered by Froala Editor