লন্ডনের থেকেও এগিয়ে কলকাতা, বৈদ্যুতিক পরিবহণ ব্যবস্থার বিকাশে বিশ্বে তৃতীয়

সারা পৃথিবী জুড়েই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় পরিবেশ দূষণ। অথচ তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা। দূষিত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। তবে এই সমস্যার সমাধান করতেই এবার বিদ্যুৎনির্ভর যানবাহনের উপর গুরুত্ব দিতে চাইছে সমস্ত দেশ। কিন্তু বৈদ্যুতিক পরিবহণ ব্যবস্থার বিকাশে কতটা এগিয়ে কোন শহর? সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের প্রথম তিনটি শহরের মধ্যেই রয়েছে কলকাতা। আর তার অবস্থান লন্ডনের চেয়েও আগে।

কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে ইভি সিটি কেসবুক ২০২১। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, সেনজেন, স্যান্টিয়াগো বা ভ্যাঙ্কুবারের মতো পেল্লায় আধুনিক শহরগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কলকাতাতেও গণপরিবহন ব্যবস্থা ক্রমশ বিদ্যুৎ-নির্ভর হয়ে উঠছে। আর এই তালিকায় লন্ডনের স্থান পঞ্চম। কলকাতা কিন্তু রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অবশ্য এখানে শুধুই বিদ্যুতচালিত বাসের কথা বলা হচ্ছে না। সেই তালিকায় কলকাতার থেকে এগিয়ে আছে আমেদাবাদ। কিন্তু ট্রাম, মেট্রো রেল এবং সাব-আর্বান রেল মিলিয়ে বৈদ্যুতিক পরিবহণে এগিয়ে কলকাতা।

তবে কলকাতার রাস্তায় বিদ্যুৎনির্ভর বাস চালানোর ব্যাপারেও দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। প্রথমে বাইরে থেকে আনা কিছু বাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্যে তৈরি বৈদ্যুতিক বাস চালানো হচ্ছে। বর্তমানে সেই সংখ্যা ১০০। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যাটা ৫ হাজারে পৌঁছাবে বলেই মনে করছেন পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। তবে সামগ্রিক সাফল্য ভালো হলেও কলকাতার পরিবহণ সংস্থাগুলিকে একটু সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইভি সিটি কেসবুক। বিশেষ করে কলকাতার ঐতিহ্য, এশিয়ার বৃহত্তম ট্রাম নেটওয়ার্ক আজ রীতিমতো ধুঁকছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার যথেষ্ট বিবর্তন ঘটেনি। আর করোনা অতিমারীর মন্দা বাজারে বেশ কিছু ব্যাটারিচালিত বাসও পথে নামানো হচ্ছে না। কারণ এই বাসের খরচ বেশি। আগামীদিনে সুস্থ পরিবেশের উদ্দেশ্যে এই ছোটোখাটো বিষয়গুলির সমাধান আশু প্রয়োজন। কলকাতার বাতাসের পিএম কণার ৩০ শতাংশই তো আসে যানবাহন থেকে। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎনির্ভর পরিবহণ চালু হলে শহরের আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার হবে।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ট্রাম ও লঞ্চ মিলিয়ে সারাদিনের ‘বিবেকযাত্রা’, অভিনব উদ্যোগ পরিবহণ নিগমের