বিদ্যুৎ-ইন্টারনেটের লাইন এবার ভূগর্ভ-পথেই, উদ্যোগী কলকাতা পৌরসভা

কলকাতার যেকোনো রাস্তায় হাঁটতে গেলেই চোখে পড়তে বাধ্য ওভারহেডের তার। সাধারণ বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি কেবল, টেলিফোন কিংবা ইন্টারনেট-পরিবাহী জটলা বেশ খানিকটা দৃষ্টিনান্দনিকতাকেও প্রভাবিত করে কলকাতার স্কাইলাইনের। পাশাপাশি এই ধরণের লাইভ কানেকশন বেশ ঝুঁকিপূর্ণও বটে। এবার এই দৃশ্যদূষণ কমাতেই পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। মাটির তলায় পাতা ডাক্ট লাইন দিয়েই হবে বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য পরিষেবাপ্রদান।

গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পার্ক সার্কাসে ১৮ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল পরিবাহী তারে হাত দিয়ে। সেই ঘটনার পরেই নড়ে-চড়ে বসে প্রশাসন। ওই বছরই এপ্রিল মাসে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কেবিল অপারেটর, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জরুri বৈঠক করেন বেশ কয়েকটা। পরিকল্পনার নীল-নকশা তৈরি হয়ে গেলেও, পাইলট প্রোজেক্টের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতেই চলছিল এতদিন। এবার নতুন করে গতি পেতে চলেছে সেই প্রকল্প।

কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ফুটপাতের নিচে ৮ ইঞ্চির ফ্লেক্সি-ডাক্টলাইন স্থাপনের কাজ। পিভিসি’র মোটা পাইপলাইন স্থাপন করে, তার মধ্যে দিয়েই পাঠানো হবে সমস্ত বৈদ্যুতিন লাইনকে। প্রাথমিকভাবে হরিশ মুখার্জি রোডের পশ্চিম প্রান্তের ফুটপাথ থেকেই শুরু হচ্ছে এই পাইলট প্রোজেক্ট। চিহ্নিত করা হয়েছে কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের সামনে থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত ২.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। নির্দিষ্ট দূরত্বের ব্যবধানে থাকছে মেরামতির জন্য ৩০ মিটারের পিট। 

একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে নিরাপদ হবে এই ব্যবস্থা, তেমনই এড়ানো যাবে ক্ষয়-ক্ষতিও। প্রতিবছরই ঝড়-বৃষ্টির কারণে, কিংবা গাছ পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈদ্যুতিক লাইন। যার ফলে তার মেরামতিতে খরচ হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। পাশাপাশি বিঘ্নিত হয় পরিষেবাও। এবার সেসব সমস্যাতেও রেশ পড়তে চলেছে স্থায়ীভাবে...

Powered by Froala Editor

More From Author See More