১৭৫ পেরিয়েও বাঙালিকে মজিয়ে রেখেছে কলকাতার সবচেয়ে পুরনো মিষ্টির দোকান

উৎসবে হোক বা অজুহাতে— মিষ্টি ছাড়া বাঙালির জীবন প্রায় অসম্পূর্ণ। রসগোল্লা, চমচম, সরভাজা, কত না তার বাহার, স্বাদ। আর বাঙালির এই মিষ্টত্বে রাজত্ব করে আসছে বেশ কিছু ঐতিহ্যশালী দোকান। যার মধ্যে অন্যতম গিরিশ চন্দ্র দে—নকুড় চন্দ্র নন্দী, কলকাতার সবচেয়ে পুরনো মিষ্টির দোকান।

গিরিশ দে এবং নকুড় নন্দীর দোকানের পরিচয় নতুন করে দেওয়ার বোধহয় খুব একটা প্রয়োজন নেই। শুধু কলকাতা নয়, সারা বাংলা মায় বাংলার বাইরেও বহু জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এর খ্যাতি। যার শুরুটা হয়েছিল ১৮৪৪ সালে, আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে! হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। হেদুয়ার ৫৬ রামদুলাল সরকার স্ট্রিট অঞ্চলে প্রথম খোলা হয় এই মিষ্টির দোকান। তারপর থেকে তার খ্যাতির ঢেউ আর থামছেই না। মিষ্টির অত্যন্ত ভাল মান, ভাল স্বাদ, আর সেই সঙ্গে মিষ্টির ব্যাপ্তি— এই সবকিছুই নকুড়ের ইউএসপি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখানে তৈরি হয় নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট। চকোলেট সন্দেশ, চকোলেট কুলফি, ম্যাঙ্গো মৌসুমি, পারিজাত— তালিকা শেষ হবে না। সেই সঙ্গে রয়েছে নকুড়ের ফেমাস ‘জলভরা’।

শুধু বাংলাকে নয়, নকুড়ের মিষ্টি মাতিয়েছে ভারতকেও। বচ্চন পরিবার থেকে শুরু করে হিলারি ক্লিনটন— প্রত্যেকের কাছেই পৌঁছে গিয়েছে নকুড়। ভারতের তাবড় শেফরাও বারবার ফিরে আসেন এখানে। এ স্বাদের ভাগ হবে না যে!

Latest News See More