লকডাউনে অস্ট্রেলিয়ার জনশূন্য রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ক্যাঙ্গারু

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ঘরবন্দি হয়েছে মানুষ। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই কঠোর করা হয়েছে লকডাউনের নিয়ম। রাস্তাঘাট, পার্ক, মাঠ সবই জনশূন্য। তবে মানুষের এই বন্দিদশাতে রাস্তায় রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে পশুরা। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরের রাস্তাঘাটেই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াতেও ধরা পড়ল এমন দৃশ্য।

এর আগে জাপানে দেখা গিয়েছিল পশু সংরক্ষণ উদ্যান থেকে বেরিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণরা। ওয়েলসের উত্তর সমুদ্র তীরে দেখা গিয়েছিল একদল ছাগলকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। এবার ক্যাঙ্গারুর পালা। গত রবিবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অ্যাডিলেডে শহরের রাস্তায় দেখা গেল ক্যাঙ্গারু। সাউথ অস্ট্রেলিয়া পুলিশের সিসিটিভিতে ধরা পড়ল এই ফুটেজ। ফাঁকা রাস্তায় দিব্যি লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল প্রাণীটি।

রাস্তা পার হয়ে একটি পার্কে যাওয়ার সময়, অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় ক্যাঙ্গারুটি। সাউথ অস্ট্রেলিয়া পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই দৃশ্য কার্যত বিরল। অ্যাডিলেড অস্ট্রেলিয়ার জনবহুল শহরগুলির মধ্যে একটি। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের বসবাস সেখানে। কাজেই মানুষের উপস্থিতি এবং আওয়াজের জন্য, ক্যাঙ্গারুরা সচরাচর ঢুকে পড়ে না শহরে।

অস্ট্রেলিয়ায় কঠোর করা হয়েহে লকডাউনের নিয়ম। জরুরি দরকার ছাড়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ বাড়ি থেকে বেরোনো। বন্ধ রয়েছে পার্ক, মাঠগুলিও। লকডাউনের কারণে যেহেতু শহর এখন পুরোই নিস্তব্ধ, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে শহরের কেন্দ্রে চলে এসেছে ক্যাঙ্গারুটি। এমনটাই মনে করছেন ওই আধিকারিক।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ফুকেটেও দেখা গেল এক অবাক করা দৃশ্য। থাইল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সমুদ্রতটে শেষ কুড়ি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক কচ্ছপের বাসা দেখা গেছে। ফুকেট থাইল্যান্ডের সবথেকে জনপ্রিয় দ্বীপগুলির মধ্যে একটা। সারা বছরই উপচে পড়া ভিড় থাকে পর্যটকদের। সেই কারণেই ফুকেটকে হটস্পটের মধ্যেই রেখেছে থাইল্যান্ড সরকার। কঠিন বিধির মধ্যে চলছে লকডাউন। যেহেতু পর্যটক নেই, রাস্তাঘাট এবং সমুদ্রতটও জনমানব শূন্য।
এই লকডাউন, অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীদের উপরেও প্রভাব ফেলবে যথেষ্টই। বিশেষত সামুদ্রিক প্রাণীদের ওপর। বিঘ্নতা না থাকায় প্রজননের হার বাড়বে। বাড়বে সংখ্যা। এই বিষয়ে আশাবাদী সমস্ত প্রাণীবিজ্ঞানীরাও।