সপ্তাহে দু'দিন লকডাউনের পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কারণ, জানাচ্ছেন গবেষকরা

রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে তা স্বীকার করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। আর তার মোকাবিলা করতেই সপ্তাহে দু'দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে সব মহলেই জল্পনা তুঙ্গে। মাত্র দু'দিনের লকডাউন আদৌ কি কার্যকরী হবে করোনাকে রুখতে? এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে বারবার। এবার এর বৈজ্ঞানিক কারণ ব্যাখ্যা করলেন পরিসংখ্যানবিদরা।

সম্প্রতি আইআইএসসি’র বিজ্ঞানীরা ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করছিলেন। আর তার জন্যই দেশের সংক্রমণের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি মাল্টি ডাইমেনশন সমীকরণ তৈরি করেন। যে সমীকরণের ভিত্তিতেই বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করছেন ভবিষ্যতের পরিস্থিতি।

এর আগেও বহু বিজ্ঞানীরা নানান সমীকরণের কথা সামনে এনেছেন। কিন্তু তা অনেকক্ষেত্রেই ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেই ধরা হয়েছিল। কিন্তু আইআইএসসি’র এই সমীকরণ রীতিমতো সঠিক গণনাই করতে সক্ষম। ১ জুলাইয়ের জন্য এই সমীকরণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল সংক্রমণের সংখ্যা থাকার কথা ৬ লক্ষ ১৮ হাজার। বাস্তবে সেই সংখ্যা পৌঁছেছিল ৬ লক্ষ ৫ হাজারে। যা খুব একটা দূরে না এই সমীকরণের ফলাফল থেকে।

এই সমীকরণ বলছে এইভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকলে অক্টোবরেই সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯.৭৫ লক্ষ ছুঁতে পারে ভারতে। মোট সংক্রমণ ছুঁতে পারে ৭০ লক্ষ। মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে ৩ লক্ষ। কিন্তু যদি প্রতি রবিবার লকডাউন চালানো যায় তবে সে সংখ্যাই নেমে আসতে পারে ৩৩.২ লক্ষে। মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসতে পারে ১.৬৭ লক্ষ। সপ্তাহে দু’দিন এই লকডাউন চালু করলে আরও খানিকটা কমে যেতে পারে সংক্রমণ।

বলাই বাহুল্য এর সঙ্গেই সংক্রমিতদের এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিতকরণ না হলে এই মডেল কার্যকরী হবে না, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পশ্চিমবঙ্গ এই মডেলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন দেখার কথা, ভ্যাকসিন না আসা অবধি কতটা কমিয়ে রাখা যায় এই সংক্রমণ। কারণ গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হওয়ায় অবস্থা বেশ খারাপের দিকেই যেতে চলেছে ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিসংখ্যানবিদরা...

https://cmg.cds.iisc.ac.in/covid/

আরও পড়ুন
পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী, বাংলার প্রথম রূপান্তরকামী হিসেবে করোনাকে হারালেন জিয়া

Powered by Froala Editor