বাড়ছে চাপ, করোনায় মৃতদের দাহে ধাপার বিকল্পের খোঁজ

করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রীতিমতো আতঙ্কে সবাই। বহু মানুষ ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এখনও সুস্থ হয়ে উঠছেন; তবুও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। সংক্রমণও বাড়ছে। তার থেকেও বেশি সমস্যায় পড়েছেন শহরের পুরকর্মী ও আধিকারিকরা। করোনার জন্য যারা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের দাহ করার জায়গা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তাঁরা। মেটিয়াবুরুজের একটি বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পোড়ানোর বন্দোবস্ত করা হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের ফলে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আবারও বিপদে পড়েন তাঁরা।

করোনা সংক্রমণের শুরুর দিনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, করোনার ফলে যারা মারা যাবেন, তাঁদের মৃতদেহ ধাপায় পোড়ানো হবে। হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বী হলে বাগমারী কবরস্থানে দাফন করা হবে। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই ধাপায় মৃতদেহ পোড়ানো নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বাকিদের। শহরের অন্যান্য শ্মশানের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। শেষ পর্যন্ত ধাপার ক্ষেত্রে সমস্যা মিটলেও ইদানিং অন্য একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। একা ধাপায় এত সংখ্যক মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া ও পোড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই বিকল্প হিসেবে আরও একটি বা দুটি জায়গার খোঁজ করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। 

সূত্রের খবর, সেখান থেকেই মেটিয়াবুরুজের এই শ্মশানে মৃতদেহ পোড়ানোর বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের ফলে সেই কাজ করা যায়নি। আপাতত পরিকল্পনা করা হয়েছে, ধাপার চাপ কমাতে সেখানে আরও কিছু বৈদ্যুতিক চুল্লির বন্দোবস্ত যাতে করা যায়। আর যত দ্রুত সম্ভব এমন কোনো বিকল্প জায়গা খোঁজা যেখানে করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ দাহ করা যায়। নাহলে যদি এই দেহ থেকে যায়, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। আপাতত এই চিন্তা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। রোগের আগে তো বটেই, রোগের পরেও রেহাই দিচ্ছে না করোনা… 

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
সেপ্টেম্বরের আগেই ভারতে করোনা-আক্রান্ত হবেন ৩৫ লক্ষ, বলছে গবেষণা

Latest News See More